পৌরাণিক কাহিনিতে দীপিকা

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
বলিউড পরিচালক নাগ অশ্বিন পরিচালিত 'কল্কি ২৮৯৮ এডি' হিন্দু পৌরাণিক কাহিনির প্রেক্ষাপটে তৈরি। এই ছবিতে একঝাঁক তারকার দেখা মিলবে- দক্ষিণী তারকা প্রভাস, কমল হাসন, 'শাহেনশাহ' অমিতাভ বচ্চন ও বলি সুন্দরী দীপিকা পাড়ুকোন। শ্রীকৃষ্ণের শেষ অবতার 'কল্কি'র চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রভাস। হিন্দি ও তেলুগু দুটি ভাষায় শুটিং করা হয়েছে ছবিটি। এতে প্রধান ভিলেন হিসেবে ছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এই অভিনেতা কথা বলেছেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে। একান্ত আড্ডায় নিজের ব্যক্তিগত বিষয় ও অভিনয় প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথোপকথনে ওঠে এসেছে দীপিকা পাড়ুকোনের কথা। অভিনয় ও ব্যক্তি দীপিকাকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। অভিনয়ের বিষয়ে দীপিকা ছাড় দেওয়ার পাত্র নন। অভিনয় করতে গিয়ে দীপিকার চুলের মুঠি ধরে টানেন শাশ্বত। আড্ডায় শাশ্বতকে প্রেমের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেতা বলেন, আমার না সলিড প্রেম করে বিয়েটা হয়নি! প্রেম এসে চলে গেছে। তখন আমার এত ধক ছিল না। মনের কথা বলেছি, আবার পিছিয়ে এসেছি। একদম আমি এখনো রোমান্টিক, জীবনে ওটা না থাকলে আর থাকল কী! আজকাল তো কলকাতায় খুব বেশি পাওয়া যায় না, এখন কি এখানে না ওখানে (বলিউড) এমন প্রশ্নে শাশ্বত বলেন, আপতত কদিনের জন্য কলকাতায়। তারপর আবার ফিরে যাব। আপতত অনুরাগের (বসু) মেট্রো ইন দিনোর শুটিং করছিলাম। সঙ্গে 'কাল্কি ২৮৯৮ এডি'র কাজ চলছে। আরেকটা নীরজ পান্ডে প্রোডাকশনের একটা ওয়েব সিরিজের কাজ শুরু হবে- ডেট চূড়ান্ত হয়নি। 'কল্কি ২৮৯৮ এডিতে' কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন; তার কাছ থেকে কী শিখলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রথম যখন দেখলাম ভদ্রলোককে, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলাম। উনি কিছু একটা বললেন, আমি শুধু মুখ নাড়ানোটা দেখেছিলাম। পড়ে শুনেছিলাম উনি বলেছিলেন, 'অ্‌য়ায়সা মত করো'। সেই সময় কথাটা আমার কানে আসেনি। ইন্ডাস্ট্রিজুড়ে ওনার প্রতি যে সম্মান, সেটা সত্যি মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়। ওই দিন প্রভাসের শুটিং ছিল না, প্রভাসের মতো সুপারস্টার সারাদিন সেটে বসে শুধু কমল হাসানের অভিনয় দেখল। ভাবা যায় বলুন তো! দীপিকাকে নিয়ে তিনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। কাছ থেকে কেমন দেখলেন সুপারস্টার দীপিকাকে? শাশ্বত বলেন, এবারও আমার দীপিকার সঙ্গে সিন ছিল। দীপিকার সূত্রে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে আলাপ হয়ে গেল। রণবীর বউয়ের শুটিং দেখতে এসেছিল। দীপিকা এত্ত বেশি সিনসিয়ার, ওকে আমি কী না করেছি এই ছবিতে! চুলের মুঠি ধরে হিড় হিড় করে টেনেছি! আমি ছবির মুখ্য ভিলেন, আমি তো প্রথমে মরে গিয়েছিলাম। তারপর গল্প চেঞ্জ করে, আমাকে বাঁচিয়ে দিল। আর যে আমাকে মেরে দিয়েছিল, তাকে মেরে ফেলেছে। আসলে ছবিটা করতে করতে ওরা বুঝেছে এটাকে শেষ পর্যন্ত রাখতে হবে।