শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লাকী আখন্দের চলে যাওয়া সাত বছর

বিনোদন রিপোর্ট
  ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
লাকী আখন্দের চলে যাওয়া সাত বছর

আজও তার গান বাজে শ্রোতাদের মুখে মুখে, বিরহী বা অভিমানী প্রেমিকের অন্তরে অন্তরে। বলছি প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দের কথা। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন সাত বছর হয়ে গেল। গতকাল নন্দিত এই সঙ্গীত তারকার মৃতু্যবার্ষিকী ছিল। দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত থাকার পর ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

১৯৫৬ সালের ৭ জুন ঢাকার পাতলা খান লেনে জন্মগ্রহণ করেন লাকী আখন্দ। মাত্র ৫ বছর বয়সেই তার বাবার কাছ থেকে সঙ্গীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন তিনি। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন লাকী আখন্দ।

১৯৭৫ সালে লাকী আখন্দ তার ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের একটি অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজন করেন। অ্যালবামটিতে 'আবার এলো যে সন্ধ্যা' ও 'কে বাঁশি বাজায়রে' গান দুটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।

১৯৮৪ সালে লাকী আখন্দ তার নিজ নামেই প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামটি সরগমের ব্যানারে প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের 'আগে যদি জানতাম', 'আমায় ডেকোনা', 'মামুনিয়া' ও 'এই নীল মনিহার' গানগুলো শ্রোতাপ্রিয় হয়। যেগুলো এখনো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

এছাড়া কুমার বিশ্বজিতের কণ্ঠে 'যেখানে সীমান্ত তোমার', সামিনা চৌধুরীর কণ্ঠে 'কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে' এবং জেমসের কণ্ঠে 'লিখতে পারি না কোনো গান আর তুমি ছাড়া' কালজয়ী গানগুলোর সুর করেছেন লাকী আখন্দ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে