কাজে ফিরছেন পুজা চেরী
প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
মৃতু্যর পরেও যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন অটুট থাকে। মা-ই যেন সব। ব্যতিক্রম নন চিত্রনায়িকা পুজা চেরীও। ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে আমার পথচলা চিত্রনায়িকার। সব কাজেই ছায়ার মতো পাশে থাকতেন তার মা।
মেয়েকে নিয়ে মায়েরও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেসব পূরণের আগেই গত ২৪ মার্চ পুজাকে একা করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার মা ঝর্ণা রায়। তবে মা বেঁচে না থাকলেও মায়ের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে চান এই নায়িকা। আর তাই মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করতে চান পুজা।
গম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে কাজ ও মাকে নিয়ে কথা বলেন পুজা। চিত্রনায়িকা বলেন, মাকে কতটা ভালোবাসি, সেটা বেঁচে থাকতে তাকে বলতে পারিনি। আসলে বুঝিনি, এত তাড়াতাড়ি মা আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন না ফেরার দেশে। মা সব সময়ই আমাকে শক্ত মনের মানুষ বলতেন। তোমার পথে যত বাধাই আসুক, তুমি ঠিক কাটিয়ে উঠতে পারবে, সেই বিশ্বাস আমার আছে। এখন সেসব কথাগুলো মনে করে আমি আরও উৎসাহিত হই।
এদিকে আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পুজা অভিনীত সিনেমা 'লিপিস্টিক'। গত ৩০ মার্চ বিকেলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমাটি ঈদে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যার পর 'বেসামালড্যান্স নম্বর ওয়ান' শিরোনামে একটি গান প্রকাশের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির প্রচার শুরু হয়। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান।
এ প্রসঙ্গে পুজা বলেন, মায়ের রেখে যাওয়া কথা মাথায় রেখেই ঈদের সিনেমার প্রচার করতে হবে। নতুন নতুন কাজ করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই আমার সব কাজে ছায়ার মতো পাশে থাকতেন মা। সে সময় থেকেই মা চাইতেন আমি যেন আমার কাজ দিয়ে বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারি। আজ মা নেই, মাকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই আমি। যেভাবেই হোক মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাকে।
চিত্রনায়িকা বলেন, মা মারা যাওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। কাজে ফিরতে হচ্ছে। তবে শত কাজের মধ্যেও মাকে ভুলে থাকা যাবে না। চলার পথে, কাজের পথে ঘুরেফিরে মায়ের স্মৃতি ডাকবে আমাকে। আমি যেমন মাকে বিশ্বাস করতাম, তেমনই মাও করতেন আমাকে। পরিচিতজনদের মা প্রায়ই বলতেন, পুজা আমার হাতের লাঠি, আমার শক্তি।
তবে মা যেখানেই থাকুন, তার সঙ্গেই আছেন জানিয়ে পুজা বলেন, মায়ের ঘরটা এখন শূন্য কিন্তু আমি ভাবি, মা ঘরেই আছেন। আগে যেমন করতাম, এখনো বাসা থেকে কাজে বের হলে রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলি, মা আমি বের হলাম।