ঈদের ব্যস্ততা কেমন?
ঈদের ব্যস্ততা নাটকের কাজ নিয়ে। যেহেতু সামনে ঈদ তাই কাজের চাপ একটু বেশি। ৭-৮টা নাটকের কাজ শেষ করেছি। আরও কয়েকটা নাটকের কাজ বাকি আছে। এগুলোও ঈদের আগেই শেষ করব। রোজার দিন কাজ করতে একটু বেশি কষ্ট হয়। ঢাকার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়। আউটডোরে কাজ করাটা একটু বেশি কষ্টের। তবুও তো কাজ করতে হবে। যেহেতু আমরা অভিনয়শিল্পী।
এবার ঈদে কি নতুন কোনো বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে?
এবার ঈদে শুধু নাটকের কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছি। অন্য কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারিনি। তাই ঈদে কোনো বিজ্ঞাপনের কাজ করা হয়নি। কারণ ব্যাটে-বলে মিলেনি।
সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু, আবারও কি সিনেমায় ফিরবেন?
হঁ্যা। আবারও সিনেমায় ফিরব, তবে ভালো গল্প, ভালো চরিত্র পেলেই ফিরব। নামে মাত্র সিনেমা করলে তো হবে না। ভালো সিনেমা করতে চাই। এমন গল্পের সিনেমা করব যে সিনেমা পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখা যায়। দর্শক যাতে আমাকে সারা জীবন মনে রাখতে পারে এ রকম সিনেমা করব। সিনেমার জন্য অনেক অফার আসে ব্যাটে-বলে মিলে না, তাই ফিরিয়ে দিই। তবে ব্যাটে-বলে মিলে গেলে আবারও সিনেমায় ফিরব। কারণ আমি ভিন্নধর্মী চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই। আমি যদি সব সময় নিজেকে স্টাডির মধ্যে রাখতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে। যার লক্ষ্য থাকে সঠিক, যার উদ্দেশ্য থাকে সৎ একদিন সে সফল হবেই।
সব শিল্পী এখন ওটিটির দিকে ঝুঁকছে এ ব্যাপারে একটু বলুন?
ওটিটির দিকে ঝুঁকছে এটার তো অবশ্যই কারণ আছে। ওটিটিতে কাজ করলে ভালো বাজেট পায় যায়। আর সেখানে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা যায়। অনেক শিল্পীই ওটিটিতে কাজ করে ভালো সফল হয়েছেন। আমি এখনো ওটিটিতে কাজ করিনি। তবে কাজের ব্যাপারে কথা চলছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কাজ করব ইনশাআলস্নাহ।
আপনাকে নোয়াখালী ভাষায় বেশি অভিনয় করতে দেখা যায়, এর কারণ কী?
নোয়াখালী ভাষায় অনেকগুলো নাটক করেছি। সেই নাটকগুলো দর্শকমহলে বেশ সাড়া পেয়েছে। আমার বাড়ি তো ভোলায়, মানুষ মনে করে আমি নোয়াখালীর। নাটকের গল্পের প্রয়োজনে এ ভাষায় কাজ করা। আমরা তো অভিনয়শিল্পী। আমাদের সব চরিত্রেই কাজ করতে হয়। আর আমাদের আশপাশের মানুষের কিছু সমস্যা আছে। যে কাজটা একটু হিট হবে তখন মানুষ বলবে এটাই করো। আসলেই এক রকমের কাজ সব সময় ভালো লাগে না। তাই নোয়াখালী ভাষায় কাজ একটু কমিয়ে দিয়েছি।
জামিল-ইমু জুটি বর্তমান সময়ে কেন এত জনপ্রিয়?
অভিনেতা জামিল ভাইয়ের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকটি কাজ করা হয়েছে। কাজগুলোর গল্পও অনেক ভালো ছিল। কিছু কিছু নাটকের ভিউ অনেক হয়েছে। আসলে জুটি ক্লিক করলে যা হয় আরকি। সিনেমার ক্ষেত্রেও তেমনি হয়। যেমন- রিয়াজ-শাবনূর, শাকিব-অপু। এরা কিন্তু জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। দর্শক এখন কোন জুটি পছন্দ করবে এটা দর্শকরাই ভালো বলতে পারবে। ইদানীং জামিল ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব কম কাজ হচ্ছে।
অভিনয়জগতে এসে কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন?
এ জগতে এসে অনেকেই অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে। আমি তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়নি। আমি যখন বড় আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করি তখন প্রথমে কিছুটা ভয় লাগে। কিন্তু আমি চরিত্রের মধ্যে এমনভাবে ঢুকে যাই যে কারণে আর সমস্যা হয় না। এছাড়া পেছনে আমাকে নিয়ে কে কী সমালোচনা করল, কে গালি দিল সেসবে আমার কিছু যায়-আসে না। এটা আমার রিজিক। এখান থেকে আমি উপার্জন করছি। নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি আমার কাজটা সঠিকভাবে করতে চাই।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত প্রাপ্তি কী রকম?
ক্যারিয়ারে প্রাপ্তিটাই অনেক বেশি। অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। দেশের মানুষ আমাকে চিনে। আমার কাজগুলো পছন্দ করে। অনেকেই আমাকে সম্মান করে। এসব কোটি টাকা দিয়েও কেনা যায় না। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো কাজ করতে চাই। কাজের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। আমি একজন শিল্পী। আমি আমার জায়গা থেকে শতভাগ চেষ্টা করে যাব। অভিনেত্রী হিসেবে এমন কোনো কাজ করব না, যা ফ্যামিলি বা সামাজিকভাবে প্রভাব ফেলে।