মোদিভক্ত হিসেবে পরিচিত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে এবার পুরস্কার দিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পঞ্চম প্রার্থী তালিকায় চমক হিসেবে নাম রয়েছে তার।
রোববার রাতে পঞ্চম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আনে বিজেপি। এতে দেখা যায়, হিমাচলের মান্ডি কেন্দ্র থেকে পদ্মফুলের হয়ে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছেন কঙ্গনা। বিজেপির টিকিট পাওয়া মাত্রই কঙ্গনাকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করে মন্তব্য করে বসলেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ।
অভিনেত্রীর ছবি দিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ লেখেন, 'মান্ডিতে রেট কত চলছে কেউ বলবেন?'
এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। একজন অভিনেত্রীর প্রতি একজন নেত্রীর এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্ট ডিলিট করে দেন সুপ্রিয়া। জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস ছিল এমন একজন তার অজান্তে এই পোস্ট করেছে। কংগ্রেস নেত্রী লেখেন, 'আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন, আমি কখনোই একজন নারীর উদ্দেশে এমন কথা লিখতে পারি না।' কিন্তু ততক্ষণে বিতর্ক আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন কঙ্গনাও।
সোশ্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্ম এক্সে কঙ্গনা লিখেছেন, ''প্রিয় সুপ্রিয়াজি, শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ারের গত ২০ বছরে সব ধরনের নারীচরিত্রে অভিনয় করেছি। 'কুইন'-এ একজন সাধাসিধে মেয়ে থেকে 'ধাকড়'-এ গুপ্তচর, 'মণিকর্ণিকা'য় যুদ্ধরত রানী থেকে 'চন্দ্রমুখী'তে অশরীরী, 'রজ্জো'তে পতিতা থেকে 'তালাইভি'তে বিপস্নবী নেত্রী। আমাদের মেয়েদের কুসংস্কারের শৃঙ্খল থেকে মেয়েদেরই মুক্ত করা উচিত। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ঊর্ধ্বে উঠে ভাবতে হবে। এবং সর্বোপরি যৌনকর্মীদের চ্যালেঞ্জিং জীবন বা পরিস্থিতির অপব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিটি নারীই এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।''
কঙ্গনার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কংগ্রেস নেত্রীকে একহাত নিয়ে তিনি লিখেছেন, 'ওরা (বিরোধী নেতারা) ইস্পাতের তৈরি নারীদের সঙ্গে কী রকম ব্যবহার করা উচিত বুঝতে পারেন না। জয়ের দিকে এগিয়ে চলুন। বিজয়ী ভব।'
বিজেপি নেত্রী শাজিয়া ইলমিও নাম উলেস্নখ না করে কটাক্ষ করেন সুপ্রিয়াকে। তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় 'সমস্ত ধরনের অপমানজনক মন্তব্য এবং ডিপফেক ভিডিও শেয়ার' করেন। পাশাপাশি এই নিয়ে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াংকা গান্ধীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।