মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

সব কিছু স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে

তানজীম সাইয়ারা তটিনী- শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। এরপর মাহমুদুর রহমান হিমির 'হাউস নং ৬৯' ধারাবাহিকে অভিনয়ের পর আলোচনায় আসেন এ সময়ের নাট্যাঙ্গনের এ দর্শকপ্রিয় মুখ। বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এখন তিনি এই সময়ে নাটকে ব্যস্ততম অভিনেত্রীদের অন্যতম। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসুম বিলস্নাহ্‌ রাকিব
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সব কিছু স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে

কেমন যাচ্ছে ঈদের ব্যস্ততা?

আলহামদুলিলস্নাহ। ব্যস্ততা মোটামুটি ভালোই যাচ্ছে। অনেকগুলো নাটকের কাজ হাতে নিয়েছি। সবগুলো নাটকের শুটিং এখনো শেষ হয়নি। আরও বেশ কিছু নাটকের শুটিং ঈদের আগেই শেষ করতে হবে। ঈদ আসলে সব শিল্পীই একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঈদের জন্য সবাই মানসম্মত কাজ করে। যাতে কাজগুলো ভালো হয়। আমার পুরোপুরি ব্যস্ততা এখন ঈদের কাজেই।

এবার ঈদে আপনাকে কতগুলো

নাটকে দেখা যাবে?

ঈদের জন্য ১০-১২টা নাটকের কাজ অলরেডি শেষ করেছি। আরও ৬-৭টা নাটকের কাজ হাতে রয়েছে। এগুলোর শুটিং করছি। শুটিংয়ের জন্য ঢাকার বাইরে যেয়ে কাজ করছি। এই তো কিছুদিন আগে বাগেরহাট, সিলেট, নারায়ণগঞ্জে কাজ করে আসলাম। আউটডোরে কাজ করতে গেলে একটু বেশিই কষ্ট হয়। এর মধ্যে রোজার দিন। আসলেই পরিশ্রম ছাড়া তো সফলতা পাওয়া যায় না। সফল হতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে।

আউটডোরে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

সাধারণত শুটিং ছাড়া আমাদের ওরকমভাবে কোনো জায়গায় যাওয়া হয় না। নতুন জায়গায় নতুন অভিজ্ঞতা হয়। অনেক অচেনা মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। আমার কাজ দেখে যারা আমাকে চিনেন তারা শুটিং সেটে চলে আসেন। তাদের ভালোবাসা অনেক সময় মুগ্ধ করে। শুটিংয়ের জন্য আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা বাগেরহাট।

এত অল্প সময়ে আলোচনায় আসলেন

এ ব্যাপারে একটু বলুন?

সত্যি কথা বলতে কী, আমি অনেক লাকি। এই যে অল্প সময়েই আমার অবস্থান তৈরি করে নিতে পেরেছি এ নিয়ে আমি ভীষণ সন্তুষ্ট। মহান আলস্নাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা, পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর আমার এই অবস্থানের পেছনে দর্শকের অনেক ভূমিকা রয়েছে। দর্শক যদি আমার কাজ না দেখত বা না পছন্দ করত তাহলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না।

অভিনয়ে আসাটা কীভাবে?

আমি কখনো অভিনয় করব সেটাই ভাবিনি। সব কিছু স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে। টিভিসি দিয়ে শুরু করেছিলাম। ২০১৯ সালের দিকে প্রথম কাজটা করি। ৩০টির মতো টিভিসি ও ওভিসি করেছি। এর পর থেকে নাটকে নিয়মিত কাজ করছি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলো নাটকে কাজ করা হয়ে গেছে। কিছু কিছু নাটকের জন্য দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও আরও ভালো কাজ করতে চাই।

আপনাকে বড় পর্দায় কবে দেখা যাবে?

আমার কাছে বড় পর্দায় কাজ করাটাও অনেক বড় স্বপ্ন

পূরণ। কিন্তু বড় পর্দার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। অভিনয়ের দক্ষতা আরও বাড়াতে হয়। সিনেমায় কাজ করতে হলে সব বিষয়েই অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তাহলেই ভালো একটি সিনেমা উপহার দেওয়া যায়। নামেমাত্র অনেকেই সিনেমা করে। এসব করে কোনো লাভ নেই। সিনেমার জন্য অনেক প্রস্তাব পাই। তবে তার সবগুলোই না করে দিয়েছি। কারণ আমার ইচ্ছা, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই সিনেমা করার।

ভালো গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি অবলম্বন করেন?

ভালো গল্প বাছাইয়ের জন্য আমি সব সময় স্ক্রিপ্টটা মন দিয়ে পড়ি। নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়লে সব কিছু বোঝা যায়। যে গল্পটা আমাকে টানছে সেই কাজটাই করা হয়। কারণ একটি ভালো কাজের পেছনে অভিনয়টা যেমন দরকার, তেমন ভালো গল্পেরও দরকার।

ওটিটিতে সব শিল্পী আগ্রহ দেখাচ্ছে- আপনার কি হয় না?

হঁ্যা। এখন তো ওটিটিতে খুব ভালো কাজ হচ্ছে। আমারও কাজ করার আগ্রহ হচ্ছে। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে আমিও কাজ করব। সবাই তো চায় ভালো কিছু করার। ওটিটিতে যদি ভালো কজ করার সুযোগ পাই ইনশাআলস্নাহ করব।

ক্যারিয়ারে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

আপাতত পড়াশোনা ও অভিনয় দুটোই চালিয়ে যেতে চাই। অভিনয়টা আরও ভালো করার চেষ্টা করব। ভালো গল্পনির্ভর কাজ করব। নিজের ক্যারিয়ারটা সমনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। আর যেহেতু অভিনয়ের জগতে এসেছি। এমন কিছু কাজ করে যেতে চাই। যে কাজে দর্শক আমাকে সারা জীবন মনে রাখবে। সেই চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে