সোহেল চৌধুরী হত্যা রাষ্ট্রপক্ষের মৃতু্যদন্ড প্রত্যাশা
প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের মৃতু্যদন্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রম্নতবিচার ট্রাইবু্যনাল-২-এর বিচারক আলী আহমেদের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাদিয়া আফরিন শেলি সব আসামির মৃতু্যদন্ড প্রত্যাশা করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ আসামিরা খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন। এরপর আদালত অধিকতর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকান্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকান্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।
মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রম্নত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে পাঠানো হয়।