'যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে'র গায়ক খালিদকে গোপালগঞ্জ শহরের নয়া গোরস্তানে শায়িত করা হয়েছে। মৃতু্যর পর সোমবার রাতেই তার নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই গায়ককে। জানা যায়, রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায় খালিদের নিথর দেহ। এর আগে সোমবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় শিল্প, সংস্কৃতিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছেন। এসময় খালিদের ভগ্নিপতি জানান, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জোহর নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে খালিদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহরের গেটপাড়ার গোরস্তানে দাফন করা হবে তাকে।
তিনি আরও জানান, খালিদের স্ত্রী এবং ছেলে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। তারা আসবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ধর্মীয় মত অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দাফন সম্পন্ন করাটাই শ্রেয়, সবার মতামত এমনটাই। তাই মঙ্গলবার দুপুরেই খালিদের দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে খালিদের বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুত করছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যার পর গ্রিন রোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ। এরপর দ্রম্নত গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর সাড়ে ৭টায় খালিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। জানানো হয়, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন তিনি। গান দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম। মৃতু্যকালে 'চাইম' ব্যান্ডের এই ভোকালের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে বেশ কিছু গান তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এরমধ্যে 'হয়নি যাবারও বেলা', 'কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে', 'যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে', 'সরলতার প্রতিমা' উলেস্নখযোগ্য।
খালিদের জন্ম গোপালগঞ্জে। আশির দশকের গোড়ার দিকেই সঙ্গীতে তার অভিষেক হয়। এরপর সেই দশক এবং নব্বই দশকে সাফল্যের সঙ্গে গান করেছেন তিনি। মুগ্ধকর কণ্ঠের এ শিল্পীর গাওয়া আরও গানের মধ্যে আছে 'নাতিখাতি বেলা গেল', 'কালো মাইয়া', 'যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে', 'তুমি নেই তাই'সহ তার গাওয়া আরও অনেক গান মানুষের মুখে মুখে।