মাহী-রাকিবের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ
প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
অবশেষে স্বামীর সঙ্গে কাগজ-কলমে বিচ্ছেদ হয়েছে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহী জানান এ কথা। তিনি বলেন, আমরা দুজনেই চেষ্টা করেছি। যখন দেখেছি চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন আসলে চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে থেকে তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্বটা থাকা ভালো। যেহেতু ও ফারিশের বাবা এবং এখনো ওর সঙ্গে আমার কথা হয় নিয়মিত, যোগাযোগ আছে। ফারিশকে নিয়ে কথা হয়, ফারিশের কী প্রয়োজন এবং ও খুব যত্নবান একজন মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, কিন্তু ও ফারিশের ব্যাপারে এতটা কেয়ারিং, আমার মনে হয় পৃথিবীতে এমন বাবা পাওয়াটা খুব টাফ।
এর আগে নিজের ফেসবুক থেকে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় মাহী বলেন, 'আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রম্নতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব।'
এরপর তিনি বলেন, আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এদিকে সম্প্রতি নিজের কাজে ফেরা নিয়ে মাহী বলেন, চলতি বছর থেকে আমি যত সিনেমা করব সব ভালো প্রজেক্ট। আমি আর কোনো নরমাল কাজ করব না। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে মানুষের একেক রকমের একেক অভিজ্ঞতা হয়। প্রত্যেকটা শিল্পী যদি বড় রকমের ধাক্কা না খায়, তাহলে সে প্রকৃত শিল্পী হতে পারে না। এটা আমার কাছে এই সময়ে মনে হচ্ছে। এখন আমি কাজ নিয়ে যেভাবে সিরিয়াস, ক্যারিয়ার নিয়ে যেভাবে চিন্তা করছি ১২ বছরে ক্যারিয়ার নিয়ে এত চিন্তা করিনি।
মাহী আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এখন আবার আমার জিরো থেকে সব কিছু শুরু করি। নতুন করে শুরু করে 'অগ্নি' ও 'পোড়ামন' সিনেমার সময়ে যে রকম জনপ্রিয়তা ছিল, সে রকম আরও একবার কীভাবে অর্জন করা যায় কিংবা সেটা কীভাবে ছাড়িয়ে যাব তা নিয়ে রাত-দিন যেভাবে চিন্তা করি আমার কাছে মনে হয়, আমার জীবনে যা যা হয়েছে তা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়তো নতুন করে জীবনটা আরও আগে শুরু করতে পারতাম। আমি কখনোই ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন ছিলাম না। তবে আমার ভাগ্য খুবই ভালো। সে জন্যই আপনাদের সামনে এখনো বসে আছি। কখনোই আমি বেশি প্রফেশনাল ছিলাম না। এখন যেভাবে চিন্তা করছি, সেটা যদি আগে থেকে চিন্তা করতাম, তাহলে আমার অবস্থা আরও অনেক ভালো থাকত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহী। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহী।