মলিয়েরের বিখ্যাত সামাজিক কমেডি 'দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস' অবলম্বনে নাটক 'বউদের পাঠশালা'। আশীষ খন্দকারের পরিচালনায় নাটকটি গত বছর প্রথম মঞ্চায়িত হয় ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার কোর্টইয়ার্ডে।
একই বছর নাটকটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতেও প্রদর্শিত হয়। চলতি বছরে এসে ফের শিল্পকলার মঞ্চে উঠেছে আলোচিত নাটকটি।
নির্দেশক আশীষ খন্দকার জানিয়েছেন, 'বউদের পাঠশালা' ১ ঘণ্টার প্রযোজনা। স্পেস অ্যান্ড অ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টারের প্রযোজনায় এই নাটকটির স্টুডিও ভার্সন দেখতে পারবেন দর্শক। যা মঞ্চায়িত হবে শিল্পকলার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
নাটকটিতে দেখা যায়, জনবহুল প্যারিসের চৌরাস্তা মোড়- আর্নোলফির বাড়ি। কয়েকদিন পর ধনী বুড়ো তার বাসায় ফিরে আসে। ইতোমধ্যে সে তার ছদ্মনাম রেখেছে লা সূচি। শিশু বয়স থেকে পালিত আগনিসকে বিয়ে করার ব্যাপারে মনস্থির করে। অনভিজ্ঞ আগনিস, যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর, তখন থেকেই বুড়ো আর্নোলফি তার সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে এবং নিজের জীবনের সঙ্গে জড়াতে স্বপ্নবিলাসী হয়। বাধিত বউদের মতো আগনিসকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চায়। হঠাৎ আর্নোলফি তার পুরনো বন্ধু ওরেন্টোর ছেলে হোরেসকে দেখে আনন্দে আপস্নুত হয়ে ওঠে। যুবক হোরেস তার বাবা ওরেন্টোর আসার পূর্বেই প্যারিসে চলে আসে, আর্নোলফির অনুপস্থিতিতে আগনিসের সঙ্গে তার দেখা হয়। হোরেস জানে না, এই সেই ছদ্মবেশী লা সূচি যে কিনা তার বাবার পুরনো বন্ধু আর্নোলফি। হোরেস আগনিসের সঙ্গে বাঁধনহারা প্রণয় রচনা করে। ঘটনাচক্রে, হোরেস আর্নোলফির কাছেই আগনিসকে পেতে সাহায্য প্রার্থনা করে। আর্নোলফি আগনিসের কাছে জানতে চায় যে তার অনুপস্থিতিতে এক যুবক এই বাড়িতে আসে এবং আগনিসের সঙ্গে প্রণয় করে। আর্নোলফি আগনিসেকে বলে, সে যা করছে সেটা হলো যৌবনের অপব্যবহার। সে আগনিসকে তার আচরণের দিকে মনযোগী হতে বলে। আগনিস শুধু আর্নোলফিকেই বিয়ে করবে।