নিপুণ আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে : ইলিয়াস কাঞ্চন
প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন কীর্তিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খান-নিপুণের দ্বন্দ্বের কারণে শুরু থেকে এই কমিটিকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কমিটির নির্বাচিত ২১ জনকে কোনো মিটিংয়ে একসঙ্গে বসাতে পারেননি তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে এমনটি হয়েছে। এ আক্ষেপ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
দেশের বড় একজন রাজনীতিকের অনুরোধে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু শিল্পী সমিতির অভ্যন্তরে এমন কী মধু লুকানো রয়েছে যে এখানে সবাই নির্বাচন করতে চায়? এটা কি এমন কোনো লাভজনক সংগঠন যে কারণে এ সমিতিতে নির্বাচন করতে সবাই আদাজল খেয়ে লেগে পড়ে? এর জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আসলে এখানে যে কী মধু আছে তার কোনো খোঁজই আমি পাইনি। এই শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজ্জাক ভাই, সেক্রেটারি ছিলেন আহমেদ শরীফ। এর পর খলিল ভাই সভাপতি হলেন, তখনো সেক্রেটারি আহমেদ শরীফ। তিনি (আহমেদ শরীফ) যখন সভাপতি হলেন, তখন আমি সেক্রেটারি হই। মানে শিল্পী সমিতির দ্বিতীয় সেক্রেটারি আমি। তো সেই সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা ও সব মিলিয়ে আমি মনে করি একজন মানুষ যদি ভালো হয় তখন সবাইর কাছেই মনে হতে পারে যে তিনি সমিতির উপকারে আসবেন। কিন্তু ভোটের জন্য যে কাজগুলো করতে হয়, সেজন্য আমি তখনো কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট পাওয়ার কারণেই কিন্তু দ্বিতীয় সেক্রেটারি হওয়ার পরও এত বছর ভোটে দাঁড়াতে আমি উৎসাহ পাইনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শুধু যে একজন রাজনীতিকের অনুরোধেই গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এমন নয়, এ জন্য নিপুণ শুধু আমাকেই না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিক অনুরোধ করেছিলেন বলেই আমি নিপুণের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি। কারণ সে রাজনীতিকের প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে।
কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, 'আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। তবে ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। এই একই মানসিকতার না হওয়ার কারণেই সবাইকে এক পস্ন্যাটফর্মে আনতে পারিনি। অর্থাৎ বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভা করার যে নিয়ম আছে, আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এই সমিতিতে অনড় জগদ্দল পাথরের মতো এত অনিয়ম জেঁকে বসেছে যে, তখন একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না।' বললেন, ইলিয়াস কাঞ্চন।