ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছেন তিনি। মূলত তামিল ও তেলেগু ভাষার সিনেমায় অভিনয় করে থাকেন। এ পর্যন্ত চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তেলেগু সিনেমার এই অভিনেত্রী।
তার অভিনয়ের ভক্তসংখ্যাও নেহাতই কম নয়। অভিনেত্রী নিজেকে একজন প্যান-ইন্ডিয়া তারকা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কারণ তার ভক্তরা সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান টু'-এর পর থেকেই তিনি গোটা দেশে ডানা মেলেছেন এবং ভারতের প্রতিটি অংশ থেকে ভালোবাসাও পেয়েছেন। পুষ্পার ও আন্তাভা তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা দিতে সাহায্য করেছে।
কিন্তু দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সামান্থা এখন সিঙ্গেল। বিচ্ছেদের পর একের পর এক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার জীবন। ২০২২ সাল থেকে 'মায়োসাইটিস' নামে এক বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। সেই চিকিৎসা এখনো চলছে। এই সময় এসে সন্তানের মা হওয়া নিয়ে জটিলতা বেধেছে এই নায়িকার জীবনে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও অটো ইমিউন রোগ ধরা পড়ার পর বেশ অনেক দিনই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। যার ফলে ফিল্ম ক্যারিয়ারে বিরতি নেওয়ার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকাও গুনতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। সামান্থার বর্তমান বয়স ৩৯ বছর। সময় যত যাবে, সামান্থার মা হতে আরও জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। এসব কারণে সামান্থার বাবা-মা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু সামান্থার বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং তিনি বলেন, বিয়ে ছাড়াই দুই সন্তানের মা হতে চান।
জীবনের বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে কাজে মন দিয়েছেন সামান্থা। 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান' সিরিজে নিজের অভিনয়ের জন্য প্রশংসা অর্জন করেছেন সামান্থা। দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে 'খুশি' ছবিতেও প্রশংসিত হয়েছে তার কাজ। চিকিৎসার জন্য গত বছরের মাঝামাঝি অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন সামান্থা। তবে ধীরে ধীরে অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। আপাতত 'সিটাডেল' মুক্তির অপেক্ষায় অভিনেত্রী এবং তার অনুরাগীরা।
সামান্থা বলেন, 'সেটি ছিল আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। অনেকেই সেসময় বলেছিল, যে আমি ফুরিয়ে গেছি। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না। বেঁচে থাকলেও অভিনয় আর করতে পারবে না। কিন্তু আমার তীব্র আত্মবিশ্বাসই আমাকে ফিরিয়েছে।'