শিল্পী সমিতির বনভোজনে হাতাহাতির ঘটনায় মামলা
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
ঢাকাই সিনেমার শিল্পীদের প্রাণের সংগঠন হলো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির কর্মকান্ড নিয়ে বেশ আগ্রহ মানুষের। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে প্রতি বছরই আয়োজন করা হয় পিকনিকের। প্রতিবারের মতো এবারও শনিবার (২ মার্চ) বেশ আয়োজন করে পালিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজন। তবে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির। একের পর এক বিতর্ক চলছে এই সমিতিকে ঘিরে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে শিল্পী সমিতির পিকনিকের একটি ভিডিও। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অকথ্য ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি শিল্পী সমিতির সদস্যদের ঝগড়া পৌঁছায় হাতাহাতিতে।
এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার বাচ্চা এমন একটি জায়গায় অসম্মানিত হবে সেটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমার মনে হয় না শিল্পী সমিতি এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিবে। আমার সিনেমা দরকার নেই, আমার বাচ্চা আগে। আমি ভুলে যাবো আমার সিনেমার ক্যারিয়ারের ২২ বছর। শিল্পী সমিতির কাছে আমার কোনো প্রত্যাশাই নেই। কারণ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমি নিপুণকে কল দিলাম কিন্তু সে কল ধরলো না। এখন শিল্পী সমিতি কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমি নিজেই আইনগত ব্যবস্থা নিব। ইতোমধ্যে সেই হাতাহাতির ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক কিশোরীর সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন একজন। এরপরই পরিস্থিতি মোড় নেয় ঝগড়ায়। দুইজনের বাকবিতন্ডায় শেষ পর্যন্ত ঝগড়া পৌঁছায় হাতাহাতিতে। এতে এফডিসিতে থাকা শিল্পী সমিতির পিকনিকে উপস্থিতরা ঝগড়া ও হাতাহাতি ঠেকাতে এগিয়ে আসেন।
পিকনিকের আনন্দঘন মুহূর্তে হঠাৎ কী কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানা যায়নি।
রোববার রাতে এমন ভিডিও নেট দুনিয়ায় প্রকাশ পেতেই মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে, হাতাহাতির সেই ঘটনা এবার মোড় নিয়েছে মামলায়। সংগঠনের সদস্য নিশু তার মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ করে মামলা করেছেন কয়েকজনের বিরুদ্ধে। শুরুতে সমিতি বরাবর অভিযোগ জানিয়ে কার্যকর কোনো সমাধান না পেয়ে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন নিশু।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বনভোজনে হাতাহাতির ঘটনাটি শিল্পী সমিতিকে অবহিত করেছি আমি। এ ব্যাপারে নিপুণকে ফোন করলে কোনো সাড়া পাইনি। তবে শাহনূর ও জেসমিন ফোন করেছিল আমায়। বিষয়টি তারা দেখতেছে বলেছিলেন। তবে তারপর আর খবর নেই। ঘটনার একদিন পার হয়েছে। কিন্তু নিপুণ আমাকে ফোন করতে পারত, কিন্তু একবারও ফোন করেনি। যা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে।