আজকের যায়যায়দিন

আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে এখন প্যানেল গঠনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। নিপুণ আক্তারদের প্যানেল নিয়ে কোনো ঘোষণা না এলেও এবার মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর এক হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও আরও নতুন প্যানেল আসছে। নিপুণ আক্তারের প্যানেল এখনো ঘোষণা করা না হলেও শিগগিরই এ নিয়ে তাদের ঘোষণা আসছে।

এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে- মৌসুমীও নাকি এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এটাও শোনা যাচ্ছে- এবার নাকি তিনি অন্য প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। সেই অন্য প্যানেল কোনটা এ নিয়ে অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে এর সব গুঞ্জনই উড়িয়ে দিলেন মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী। বরং তার কথায় বোঝা যায় শিল্পী সমিতির বিষয়ে তিনি অনেকটা বীতশ্রদ্ধ। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা বলতে গিয়ে খানিকটা বিরক্তিও প্রকাশ করেন নব্বই দশকের এই ডাকসাইটে নায়ক।

ওমর সানী জানান, শুনেছি এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এবার যারা প্যানেল সাজাবেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, দয়া করে তারা কেউ আমাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়ে অনুরোধ করবেন না। কারণ ভালো ভালো সিনেমা দিয়ে জীবনে মানুষের যতটুক ভালোবাসা আমরা পেয়েছি এ নির্বাচন করে সেই ভালোবাসা হারাতে চাই না।

ওমর সানী নির্বাচনে না দাঁড়ালেও মৌসুমীকে নিয়ে নির্বাচনী প্যানেল সাজানোর কথা শোনা যাচ্ছে। সে বিষয়েও পরিষ্কার করলেন ওমর সানী। জানালেন, আমিও এ নিয়ে কানাঘুষা শুনেছি, মৌসুমী এবার নির্বাচনে দাঁড়াবে। এটারও কোনো ভিত্তি নেই। কারণ আমাদের মেয়ে ফাইজার লেখাপড়ার জন্য এ বছরটা মৌসুমীকে আমেরিকায় থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নির্বাচনে দাঁড়ানোর মতো ইচ্ছা আমার পরিবারের কারোরই নেই। এ ধরনের অনুরোধ আমাকে কেউ করবেন না। আমরা চাইও না কেউ আমাদের এ ধরনের নির্বাচনে দাঁড়াতে অনুরোধ করুক।

প্রথমবার রিয়াদের মঞ্চে জেমস

প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন মৌসুমী। ওই নির্বাচনে ২২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মৌসুমী। এরপর সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে জটিলতা শুরু হলে পরে তিনি আর সমিতিতেই আসেননি।