একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জনের পর ২০২২ সালে পরিচালক বিঘ্নেশ শিবনকে বিয়ে করেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা নয়নতারা। এর মাঝেই সম্পর্ক ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। এমনিতে তিনি প্রথম সারির নায়িকা। তার পারিশ্রমিকও নাকি দক্ষিণী নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই তাকে দক্ষিণের 'লেডি সুপারস্টার' বলে থাকেন।
বিয়ের পর সারোগেসির মাধ্যমে যমজ ছেলে হয় তাদের। সেই সময় দেশের সারোগেসি সম্পর্কিত কিছু আইনের জটিলতা তৈরি হয় নয়নতারাদের জীবনে। কিন্তু সেসব মিটে গিয়েছিল। সব ঠিকই ছিল। গত বছর নয়নতারার বলিউডে হাতেখড়ি হয় শাহরুখ খানের বিপরীতে। তবে তার ব্যক্তিগত জীবনে কোনোরকম ছন্দপতনের খবর কখনই শোনা যায়নি। কিন্তু হঠাৎই সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি স্বামীকে ইনস্টাগ্রামে 'আনফলো' করে দিলেন।
অভিনেত্রী হঠাৎই তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, 'সে চলে গেল সারাজীবনের মতো। ও বলল আর আমি অশ্রম্নভেজা চোখে মেনে নিলাম।'
অভিনেত্রীর ইনস্টা স্টোরি ঘিরে উদ্বেগে তার অনুরাগীরা। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, সত্যিই এটা পোস্ট করেছেন নয়নতারা না কি কোনো যান্ত্রিক ত্রম্নটি হলো।
তবে বলিউডে যেভাবে ঘটা করে বিয়ে হয় সেভাবেই যেন ঘটা করে বিয়ে বিচ্ছেদও হয়। ওখানে এখন সবই ঘটা করে হয়। শিশুসন্তান জন্মদানের আগেও ঘটা করা হয়। বেবিবাম্প অত্যন্ত নগ্নভাবেই ঘটা করে উন্মুক্ত করা হয়। সব কিছুতেই একটা মেকি আয়োজনের ছাপ থাকে। প্রচারকামিতা তাদের এতটাই পেয়ে বসেছে যে, অত্যন্ত সাধারণ বিষয় নিয়েও এমন ঘটা করা হয় যে, তারা জানে এটা না করা হলে তা নিয়ে মিডিয়া তোলপাড় হবে না। মিডিয়াকে তোলপাড় করতেই যেন এরকম ঘটা করা হয়। এখন সত্যি-সত্যি নয়নতারার বিয়ে ভাঙছে কিনা সেটার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে হয়তো। তবে নয়নতারার ওই ইনস্টা স্টোরি থেকে বোঝা যায়, এটা নয়নতারার মেকি আবেগেরই প্রকাশ হয়ে থাকবে। পর্দায় দেখানো নায়িকার আবেগ নিয়ে যখন লেখেন, 'সে চলে গেল সারাজীবনের মতো। আমি অশ্রম্নভেজা চোখে মেনে নিলাম'- এতটুকু আবেগের প্রকাশ থেকেই আন্দাজ করা যেতে পারে নয়নতারা তার অনুরাগীদের আবেগ নিয়ে খেলাই করছেন আসলে।