বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে কী লাভ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। প্রকৃত নাম জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টি। শাহাদৎ হোসেন লিটন পরিচালিত 'লাভ স্টেশন' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। কাজ করেছেন আরও কিছু চলচ্চিত্রে। অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র 'তুই আমার রানি' সিনেমায়। সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। অভিনয় ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসুম বিলস্নাহ
  ০৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে কী লাভ

নতুন কাজকর্ম নিয়ে কেমন আছেন এখন? খুব ভালো আছি। নানা ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই দিনগুলো যাচ্ছে। একদিকে যেমন নিজের পেশাগত ব্যস্ততা রয়েছে, পাশাপাশি অন্যান্য পারিবারিক ব্যস্ততাও রয়েছে। এই ব্যস্ততাগুলো কী রকম? যেমন সিনেমা এবং পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ফিটনেস ঠিক রাখা। এ বছরের শুরুতেই আমি তিনটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এগুলো হলো- শেখ রাসেলের আর্তনাদ, দেহ ও রোকসার। শেখ রাসেলের আর্তনাদ সিনেমায় রেহেনা আপার চরিত্রে অভিনয় করছি। সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে মে মাস থেকে। এ ছাড়া আরও সিনেমার অফার আসছে, সেগুলোর বিষয়ে মিটিং করছি। গল্প পছন্দ হলে চুক্তিবদ্ধ হব। এছাড়া নিজের ব্যবসার কাজেও খুব সময় দিতে হয়। ব্যবসার কাজে দেশের বাহিরেও যেতে হয়। এসব নিয়েই প্রচুর ব্যস্ত সময় কাটছে। 'দেহ' নামে নতুন যে সিনেমায় যুক্ত হলেন সেটা কী রকম? দেহ' সিনেমার গল্প খুব অসাধারণ। এই সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম ফুলি। প্রায় এক যুগ আগে সিনেমার গল্প লিখেছেন নির্মাতা। ঈদের পর সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। সিনেমাটির গল্প প্রসঙ্গে একটু বলি, 'বরযাত্রীবাহী এক নৌকায় ডাকাতদল ঝাঁপিয়ে পড়ে, স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু লুট করে নেয়। গ্রামের সহজ-সরল কন্যা ফুলির চোখের সামনে তার কাকা-কাকিকে ডাকাতরা হত্যা করে। ফুলির মাথায় আঘাত করে তাকে মাঝ নদীতে ফেলে দেয়। ফুলির দেহ গঙ্গার জলে ভাসতে ভাসতে এক তীরে গিয়ে ভিড়ে। এরপর ফুলির জীবনে নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়।' এই সিনেমাটির নায়ক কে হবেন, এখনো ঠিক হয়নি। তবে কলকাতা ও বাংলাদেশের দুইজন নায়ক পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। তাদের একজনকে চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়া হবে। আশা করছি, ভালো একটি সিনেমা উপহার পাবেন দর্শকরা। সামনে শিল্পী সমিতির নির্বাচন- এতে কি অংশগ্রহণ করছেন? যে অবস্থা দেখছি শিল্পী সমিতির, তা দেখে মনে হচ্ছে নিজেও এই নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যাই। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে কী লাভ? এতে তো আমি কোনো লাভ দেখি না। যেখানে কোনো লাভই নেই, তার পেছনে কেন অযথা সময় ব্যয় করব? বরং নির্বাচন যদি করতেই হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েই নির্বাচন করব। এবার জাতীয় নির্বাচনের ফরম কেনার কথা ছিল, বিভিন্ন কারণে তা কেনা হয়নি। তবে সামনের বার ফরম কেনার আশা আছে। আর শিল্পী সমিতির নির্বাচন করার আমার কোনো ইচ্ছা নেই। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট আপনি? আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট আমি। খুব বেশি সিনেমায় অভিনয় করতে না পারলেও যে কয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে আমার, এগুলোতে আমি দর্শকের সাড়া যথেষ্ট পেয়েছি। তবে আমি চাইব, প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের উপস্থিতি যেন আরও বাড়ে। দর্শক বেশি বেশি করে বাংলা সিনেমা দেখবেন- এটাই আমার কামনা। বাংলা সিনেমা বেঁচে থাকলে আমরা বেঁচে থাকব। বেঁচে থাকলে চেষ্টা করব, দর্শককে আরও ভালো মানের সিনেমা উপহার দিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে