ঢালিউডের দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঋতুপর্ণার
প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছেন নিজের জীবনের ৫০ বসন্ত। তারপরেও এখনো তিনি দুই বাংলার দর্শকের কাছেই সমান জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার কারণ তিনি বাংলাদেশেও বেশকিছু ঢাকাই সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন। সে কারণে ঋতুপর্ণার সঙ্গে ঢাকাই দর্শকের বেশ ভালোই পরিচয় আছে। তার ওপর নায়ক হিসেবে তার বিপরীতে বেছে নিয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে। যে ফেরদৌসও আবার নায়ক হিসেবে উভয় বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়। দু'জনের মধ্যেও বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। নানা দিক থেকেই বাংলাদেশের প্রতি রয়েছেন ঋতুপর্ণার একটা বিশেষ টান। প্রায়ই সুযোগ পেলে চলে আসেন ঢাকায়।
এবারও সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের জন্মমাস স্মরণে আগামী ২০ ও ২১শে এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আয়োজন হবে এই উৎসবের। এটি আয়োজন করছে সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ।
ঋতুপর্ণা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আপনারা জানেন সুচিত্রা সেনের জন্ম ও আদি বাড়ি পাবনায়। দীর্ঘদিন অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তাদের বাড়িটি দখলে ছিল। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ক্ষমতাসীন সরকারের সময় ২০১৪ সালে বাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এটি এখন জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা। এই বাড়িটি উদ্ধারের জন্য শুধু বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরাই আন্দোলন করেন নাই, আমেরিকার সাংস্কৃতিক কর্মীরাও রাস্তায় নেমেছিলেন। এ অভিনেত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে আমি আমার ভালোবাসার জায়গা মনে করি। এদেশের সিনেমার দর্শকরা আমায় যে ভালোবাসা দিয়েছেন তাতে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। ঋতুপর্ণা ঢাকায় আসতেই তাকে বরণ করতে দেখা যায় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকে। ঋতুপর্ণা ফেরদৌস সম্পর্কে বলেন, ফেরদৌস শুধু পর্দায় আমার হিরো নয়, আমরা খুব ভালো বন্ধু। আমাকে এ আয়োজনের জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় উৎসব কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জানা গেছে, গত ২৮শে জানুয়ারি জ্যামাইকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দু'দিনের এই উৎসবের লোগো ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ঋতুপর্ণা। এবার উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে এলেন তিনি। জানা গেছে, দুই দিনব্যাপী সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে দুই বাংলার ১০টি ফিচার ফিল্ম, ৫টি তথ্যচিত্র, ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রদর্শিত হবে।