ভালোবাসা দিবসে নতুন
কোনো গান আসছে?
বরাবরের মতো এবারও আমি এ দিবসটিকে সামনে রেখে নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গানটির শিরোনাম 'প্রাণ সয় না'। ফয়সাল রাব্বিকীনের কথায় এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ। নাভেদের সুর-সঙ্গীতে সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্রে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান হয়েছে। এই গানটির মিউজিক ভিডিওটিও নির্মাণ করেছেন নাভেদ। এটিই তার প্রথম নির্মাণ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে চিত্রায়িত হয়েছে ভিডিওটি। গানটি নাভেদ পারভেজের ইউটিউব চ্যানেলে শনিবার প্রকাশিত হয়েছে।
গানটি গেয়ে কেমন লাগল?
খুব রোমান্টিক কথা-সুরের একটি গান। রিদমিক এ গানটি গাইতে খুব ভালো লেগেছে। শুধু তাই নয়, যারা এই মিউজিক ভিডিওটি দেখবেন তাদের কাছে গানটির চিত্রায়ণও ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
এ ছাড়া অন্যসব গানের কথা বলবেন?
প্রো-টিউন থেকে প্রকাশ পেয়েছে 'কে যেন', এ জেড মাল্টি মিডিয়া থেকে প্রকাশ পেয়েছে 'সাঁতার জানা নেই', সাউন্ডটেক থেকে প্রকাশ পেয়েছে লিজার সঙ্গে ডুয়েট গান 'ভালোবাসবো শুধু তোমায়' এবং এছাড়া এল এইচ মিউজিক থেকে প্রকাশ পেয়েছে 'ভালোবাসি শুধু তোমায়'। নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকেও প্রকাশ পেয়েছে কয়েকটি গান।
কণ্ঠ দেওয়া আর সুর দেওয়া- দুটির কোনটি বেশি ভালো লাগে?
আমি গান গাইতেই এসেছিলাম। এখনও গান গাওয়াটা উপভোগ করি। তবে যখন গান বানাতে শুরু করি তখন অন্যরকম আনন্দ পাই। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। যখন অন্য কারও গলায় আমার সুর স্থায়িত্ব পেতে দেখি, সে আরেক রকম আনন্দ। তবে আমি সব ধরনের আনন্দই উপভোগ করি। সবই ভালো লাগে আমার। সবই এনজয় করি। আর আমি চাইলেই তো সব গানে কণ্ঠ দিতে পারব না। সেই সীমাবদ্ধতার কথাও আমার জানা আছে। কারণ সব গানের সঙ্গে আমার গলা এবং গায়কী মানানসই হবে না সেটাই স্বাভাবিক। যে গানটি আমার গলা এবং গায়কীর সঙ্গে যাবে বলে মনে করি আমি শুধু সেইসব গানেই কণ্ঠ দিয়ে থাকি। শুধু নিজের সুরেই নয় অন্যের দেওয়া সুরেও আমি কণ্ঠ দিয়ে থাকি।
কখনো এমন হয়, অন্যের জন্য যা সুর দেন নিজের হলে
অন্যরকম হতো?
আমাদের তো গানের সব শাখায় ও সব মাধ্যমেই কাজ করতে হয়। নাটক, সিনেমা, ইউটিউব, অডিও- তাতে যেখানে যেমন গান চাওয়া হয় সেভাবেই সুর করা হয়। সেটা হতে পারে মেলোডি ধাঁচের কিংবা রোমান্টিক। আবার যদি গানটি হয় স্টেজ প্রোগ্রামের জন্য তখন ফাস্ট গান হিসেবে যেমন সুর দেওয়া তেমন সুর দিয়ে থাকি। তবে সব গানই আমার নিজের পছন্দে হয় না। সুরের ক্ষেত্রে আমি সব ধরনের গানেই সুর দেই। কোনো বাছ-বিচার করি না। এখানে আমি পুরোপুরি প্রফেশনাল। শুধু নিজের গানের সময়েই নিজের পছন্দমতো সুর দিয়ে থাকি।
দেশের কম্পোজারদের
সীমাবদ্ধতা কেমন?
প্রায় সব কম্পোজার নির্দিষ্ট কিছু সফটওয়্যার দিয়েই কাজ করেন। ঘাটতির বড় জায়গায়টা বাদ্যশিল্পীর। দেশে ভালো মানের বাদ্যশিল্পী তৈরি হচ্ছে না। এই ঘাটতি আগামীতে আরও বেশি ভোগাবে। সফটওয়্যার যে কেউ চালাতে পারে; কিন্তু বাদ্যযন্ত্র বাজানো অন্য বিষয়। এর জন্য কঠোর সাধনা করতে হয়। সফটওয়্যার দিয়ে গান ও বাজনাকে পলিশ করা যায়, বাজানো যায় না। এখন সবাই কম্পোজার হতে চায়, সবাই গায়ক হতে চায়, কেউ বাদ্যশিল্পী হতে চায় না। ফলে বাদ্যশিল্পীর ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না।
নতুন কোনো পেস্ন-ব্যাকের জন্য
কাজ করছেন?
আমি তো পেস্ন-ব্যাকে তেমন ঘটা করে কাজ করি না। যখন ডাক আসে তখন করি। এরমধ্যে সরকারি অনুদানের সিনেমা 'জামদানি'র জন্য কাজ করেছি। এ ছবির সব গানেরই সঙ্গীত পরিচালক আমি। ছবিটিতে আমার তত্ত্বাবধানে আঁখি আপা (আঁখি আলমগীর) ও লিজার গান আছে। আছে আরও কিছু কাজের প্রস্তাব। সব ঠিকঠাক হলে পরে জানাব।