অনেকদিন শোবিজে দেখা যাচ্ছে না- কারণ কী?
আসলে পরিস্থিতিগত কারণেই কাজ কমে গেছে। এখন আমাকে নিজের চিকিৎসা পেশাকেই সামাল দিতে হয়। নিজের চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত। আগে খিলগাঁওয়ে আমার নিজের চেম্বার ছিল, এখন বনশ্রীতেও একটি চেম্বারে বসি। বুঝতেই পারছেন, আমার ব্যস্ততা এখন কী বেড়েছে। তবে এর মধ্যেও দুই-একটি মিউজিক ভিডিওর কাজ করা হয়েছে।
নাটক বা ওয়েবে কোনো কাজ-
নাটক খুব একটা করা হয়নি আমার। মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে কয়েকটি করেছি। ওয়েবফিল্ম বা ওয়েবসিরিজে যে রকম ট্রেন্ড, সে কারণেই এ নিয়ে আমি আগ্রহী নই। যদিও এ পর্যন্ত ১৫-২০ ওয়েবসিরিজের জন্য প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু সেগুলোর প্রস্তাব না করে দেই। কারণ, তারা আমার জন্য যে রকম চরিত্র নিয়ে এসেছিল, সেটা খোলামেলা দৃশ্যের আপত্তিকর প্রস্তাব। আমি এত শস্তা হয়ে যাইনি যে, যেনতেন চরিত্রে কাজ করব।
টিভির প্রায় সবাই ওয়েবসিরিজে ঝুঁকছেন- আপনি কেন দূরে?
আসলে দর্শক হারিয়ে এখন অনেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠতে চাইছে। যেটা টিভি নাটকে সম্ভব হচ্ছে না। সেটা তারা ওয়েবসিরিজে করতে চাইছে। বিশেষ করে উস্কানিমূলক দৃশ্য যুক্ত করার কাজে। এ জন্য তারা ওয়েবফিল্ম বা ওয়েবসিরিজকে বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে আমি এটা মোটেও পছন্দ করছি না। ওয়েবফিল্মের বা ওয়েবসিরিজের ট্রেন্ডটা যখন শুরু হয় তখন থেকেই এটা আমি অপছন্দ করি। চরিত্রগুলোর উস্কানিমূলক ও অপ্রীতিকর স্বল্পবসনার উপস্থিতি কখনোই গ্রহণ করতে পারিনি।
তথ্যমাধ্যমে তো জানা যায় আপনারও এর প্রতি পক্ষপাত আছে!
ওসব সাংবাদিকরাই আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে লিখে দিচ্ছে। আমি কখনোই বলিনি যে, বিকিনি পরে বা স্বল্পবসনা চরিত্রে হলেও অভিনয় করতে আপত্তি নেই আমার। আমি এত ক্ষুধার্ত হয়ে পড়িনি যে, যখন যা পাব তখনই সেটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমাদের সবারই স্মরণে থাকা উচিত, বাংলাদেশ সবার আগে একটা ধর্মীয় সংস্কৃতির দেশ। এরপর অন্যকিছু।
অনেকে তো আপনাকে বাংলাদেশের সানি লিওনিও বলে থাকেন?
একজন ওয়ার্ল্ড আইকনিক্যাল ব্যক্তির সঙ্গে তুলনীয় হতে পারাটা তো ভালো লাগারই কথা। আকর্ষণীয় ফিগারের দিক থেকে যদি আমাকে সানির সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে আমি বলব, সানি লিওনির ফিগারে আমিও শিহরিত ও মোহমুগ্ধ। তার মতো একজন বলিউড স্টারের সঙ্গে যখন আমাকে তুলনায় আনা হয় তখন সেটাকে অবশ্যই ইতিবাচক হিসেবেই নেই। কিন্তু দুঃখিত, আমি কোনো পর্নো তারকা নই।
পশু পালনের আগ্রহটা কি ব্রিজিত বার্দো থেকে পেলেন?
আমি ছোটবেলা থেকেই বেড়াল-কুকুর পালনে আগ্রহী ছিলাম। কাউকে দেখে নয়। ওরাও তো মানুষের মতো আমার স্বজন। যেখানেই থাকি না কেন, যতদিন আছি, এই কুকুর-বিড়ালদের নিয়েই থাকব। তাদের কাছ থেকে আমার দূরে সরে যাওয়ার উপায় নেই।
জীবনের নোঙর ভেড়াবেন কোথায়?
এখনো গুছিয়ে উঠতে পারিনি। এখনো একটা ঠিকানার খোঁজে আছি। পারিবারিকভাবেই এটা হবে। প্রেম-ভালোবাসা তো মানুষের স্বাভাবিক জীবনেরই একটা অংশ, তাই না! তবে এখনো পর্যন্ত সে রকম কোনো মনের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটেনি আমার। মনের মধ্যে তো এমন একটা ইচ্ছা দীর্ঘদিন ধরেই পুষে রাখা আছে। কিন্তু ব্যাটে-বলেই মিলছে না। কি আর করব বলুন।