বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সীমায় ব্র্যাড পিট-জোলি!
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন ডেস্ক
বিয়ের মাত্র দুই বছর পর ২০১৬ সালে ডিভোর্স ফাইল করেন তারকা দম্পতি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। তারপর থেকে তাদের আইনি লড়াই চলছেই। অবশেষে আইনগত বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে তারা।
সম্প্রতি দুজনেই তাদের ফাইন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস জমা দিয়েছেন আদালতে। আইনগত বিচ্ছেদের জন্য এটি ছিল চূড়ান্ত পদক্ষেপগুলোর একটি।
গেল দুই বছর ব্র্যাড পিট-জোলির আইনি লড়াইয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এর আগে দুজনের কাছেই একাধিকবার ফাইন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস চাওয়া হলেও সাড়া মেলেনি। অবশেষে তারা জমা দিলেন।
ব্র্যাড এবং অ্যাঞ্জেলিনার ছয় সন্তান। ম্যাডক্স, জাহারা, শিলো, প্যাক্স এবং যমজ নক্স এবং ভিভিয়েন বর্তমানে মায়ের সঙ্গেই আছে। সন্তানদের হেফাজত চুক্তি নিয়েও চলছিল আইনি লড়াই। সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই তারকা জুটি। কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই বছর পর বিচ্ছেদ হয় তাদের। দশ বছর প্রেমের পর এক দশক আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন হলিউডের প্রভাবশালী জুটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। তবে বিয়ের পর থেকেই ভালোবাসার হিসাব-নিকাশ বদলে যেতে শুরু করে। ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে তার এবং শিশুদের প্রতি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মাত্র দুই বছর পর ২০১৬ সালে হাঁটেন বিচ্ছেদের পথে, আবেদন করেন জোলি। তারপর থেকে তাদের আইনি লড়াই চলছে। অবশেষে আইনগত বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে এই সাবেক জুটি।
২০১৯ সালে তাদের আকস্মিক বিচ্ছেদের খবর নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এরই মাঝে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে একটি সাক্ষাৎকার দেন অস্কারজয়ী হলিউড তারকা এঞ্জেলিনা জোলি। সেখানে তিনি বিচ্ছেদ, ক্যারিয়ারসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
এই সাক্ষাৎকারে হলিউডকে 'অস্বাস্থ্যকর' জায়গা হিসেবে উলেস্নখ করেছেন।
একই সঙ্গে এও বলেছেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্ত নিতে হলে কখনোই তিনি অভিনয়কে বেছে নিতেন না।
এঞ্জেলিনা জোলি আরও বলেন, 'এখন অভিনয়জীবন শুরু করলে কোনো দিনই অভিনেত্রী হতে পারতাম না। ক্যারিয়ারের শুরুতে বুঝতে পারিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সবাইকে এত কিছু জানাতে হবে। কোনো ধারণাই ছিল না।'
ওই সাক্ষাৎকারে জোলি সাবেক স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদ পরবর্তী মানসিক অবস্থা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। জোলি বলেন, 'আমার শরীর বেশি চাপ সহ্য করতে পারে না। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। ব্র্যাডের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছয় মাস আগেই আমি বেলস পলসি রোগে (মুখের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়া) আক্রান্ত হই।'
এঞ্জেলিনা জোলি, তার নামের আগে কতই না বিশেষণ বসাতে হয়! অভিনেত্রী তো আছেই- প্রযোজক, পরিচালক, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সাবেক শুভেচ্ছাদূত ও ফ্যাশন উদ্যোক্তা হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। বাংলাদেশেও জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এসেছিলেন তিনি। গিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। তুলে নিয়েছেন শিশুদের নিজের কোলে। নিজের জীবনে মানসিক চাপে থাকলেও এই শরণার্থী শিশুদের দেখে আবার কী করে ভুলে যান তার নিজের সেই মানসিক চাপ। তুলে নেন শিশুদের হাস্যমুখে অকৃত্রিম মমতায়। এই মমতার কারণেই হয়ত তার আইনি বিচ্ছেদও এত দীর্ঘসূত্রতায় আটকে থাকল।