সা ক্ষা ৎ কা র
বিকল্প ধারা বলে কোনো কথা নেই
শোবিজে চার দশক পেরিয়ে এখনো উজ্জ্ব্বল মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু বৈচিত্র্যের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা। টিভি নাটক, ওয়েব সিরিজ, চলচ্চিত্র, টিভিসি সর্বত্রই সমান বিচরণ করছেন। এই দীর্ঘ অভিনয় জীবনসহ বর্তমান নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণগত মান নিয়ে কথা বলেছেন....
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
নতুন কোন নাটক বা সিনেমায় কাজ করছেন?
এরমধ্যে মইন হাসান ধ্রম্নব'র 'দাহকাল' নামে একটি সিনেমায় কাজ করেছি। সেটা এ বছরই মুক্তি পাবে। অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী এই ছবির গল্পে উঠে আসবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়কার চিত্র। আরেকটি '৬৯-এর গণঅভু্যত্থানকালীন শর্টফিল্মে 'বঙ্গবন্ধু' চরিত্রে কাজ করছি। তবে এখন নাটকে কম কাজ করছি।
নাটকে এখন কম কাজ করছেন কেন?
নাটক আগের অবস্থায় নেই। নাটকের মান, নাটকের বাজেট, গল্পহীনতা- সব মিলিয়েই বাজে অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে এখনকার নাটক। এখনকার নির্মাতারা ভাবেন, একজন হিরো-হিরোইন যখন পেয়েছেন তখন আর কি দরকার। এখন সব গল্পহীন হিরো-হিরোইন প্রধান হয়ে গেছে। কিন্তু হিরো-হিরোইন যে বাড়িতে থাকে সেখানেও তো একজন দাঁড়োয়ান থাকে। সেই চরিত্রটিরও তো দরকার আছে। আমি বিশ্বাস করি, ভালো গল্প হলে স্টারও লাগে না। তা নাটক-সিনেমা যা-ই হোক।
অনেকে তো বিকল্প ধারার কাজও করছেন?
বিকল্প ধারা বলতে তো কোনো কথা নেই। ধারা তৈরি হয়। সময়ের প্রেক্ষাপটে একেক সময় একেকটি ধারা তৈরি হয়। ক্যামেরার ল্যান্স পাল্টায়। পরিবর্তন আসে প্রযুক্তিতে। এর গুণগত প্রভাব পড়ে নাটকে বা ফিল্মে। কিন্তু এরা বাইরে থেকে অ্যাওয়ার্ড আনলেও দর্শক তো দেখছে না।
দেশে মুক্তি পাওয়ার আগেই বিদেশি ফেস্টিভালে
সিনেমা- কেমন মনে করেন?
এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে, সেটা আমার জানা নেই। ফেস্টিভালে ছবি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ধরাবাঁধা নিয়ম-কানুন আছে। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার আগেই ফেস্টিভালে জমা দেওয়া যায় কিনা, দেওয়া গেলে কীভাবে- বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। এখন হয়তো নিয়ম-কানুন কিছু বদলেছে বা এজন্য বিকল্প কোনো ওয়ে আছে।
এর থেকে উত্তরণের উপায় কি?
কলকাতার ছবিগুলো ভালো হয় কেন। ওদের সাবজেক্টগুলো অসাধারণ। গল্পের মান আমাকে মুগ্ধ করে। এখানেও কিছু কাজ ভালো হচ্ছে। যেমন- অমিতাভ রেজার 'রিকশাগার্ল'- আমাদের পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এটাও অসাধারণ কাজ। দেশের উন্নয়নই তো যথেষ্ট নয়। এই পুঁজিবাদী দেশের সাংস্কৃতিক চরিত্রেরও উন্নতি ঘটাতে হবে। তাহলেই এই বাজে অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। এজন্য ভালো ভালো সাবজেক্ট বাছাইয়ের বিকল্প নেই।
অভিনয়ে আপনার অপ্রাপ্তি বলে কিছু আছে?
একজন শিল্পীর আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। চরিত্র হচ্ছে সমাজের এমন প্রতিচ্ছবি- যার অঙ্কনটা আপনার মনে গেঁথে গেলেই সব শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এটাই চরিত্রের সবটুকু নয়। তারপরও মনে হবে চরিত্রটা আরেকটু ভালো করা যেত। চাহিদার তো শেষ নেই। এখানে কপালেরও ব্যাপার আছে। দর্শক কখন কাকে গ্রহণ করছে বা করবে সেটা বোঝা মুশকিল। এই দর্শক তো হিরু আলমকেও নিচ্ছে।