পর্দায় নতুনরূপে রজনীকান্ত
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন ডেস্ক
দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। জন্মনাম, শিবাজী রাও গায়কোয়াড়। ১৯৭৫ সালে রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটেছিল 'অপূর্ব রাগাঙ্গাল' সিনেমা দিয়ে। সিনেমাটি ছিল তামিল ভাষার। সেই অভিষেক সিনেমাটিতেই বাগিয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর পরের বছরই করেছিলেন কন্নড় ভাষায় তৈরি 'কথা সঙ্গম'। তবে 'মুলস্নুম মালারাম' সিনেমার মাধ্যমে তামিল সিনেমায় নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন রজনীকান্ত। সেই থেকে গোটা দক্ষিণী সিনেমায় চালিয়েছেন তার একচ্ছত্র শাসন। করেছেন তামিলসহ ভারতীয় আরও বহু সিনেমা। কয়েকটি সিনেমায় আবার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ভয়েসও দিয়েছিলেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য দেশের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তিনি ২০১৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন।
ছিলেন একজন সাধারণ বাস কন্ডাক্টর। সুপারস্টার রজনীকান্ত শুধু একজন অভিনেতা নন, ভক্তদের কাছে তিনি তার চেয়েও বেশি। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয়দের কাছে তিনি দেবতার সমতুল্য। তবে তার সুপারস্টার হওয়ার গল্প যেন সিনেমার গল্পের মতোই। শৈশবে-কৈশোরে অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করা রজনীকান্ত একজন সাধারণ বাসের কন্ডাক্টর হিসেব কাজ করেছিলেন। আরও আশ্চর্যের বিষয় যে, জন্মসূত্রে তিনি মারাঠি পরিবারের হলেও রজনীকান্ত কোনো মারাঠি সিনেমাতে অভিনয় করেননি।
সেই দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত এবার নতুনরূপে পর্দায় ধরা দিতে যাচ্ছেন। মেয়ে ঐশ্বর্যা রজনীকান্তের পরিচালনায় 'লাল সালাম' সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এ সিনেমা নিয়ে ইতোমধ্যে ভক্তদের আগ্রহ ও আশা বেড়েছে।
১৬৩ মিনিটের সিনেমাতে রজনীকান্ত পর্দায় থাকবেন ৩০-৪০ মিনিট মতো। মেয়ের সিনেমা হলেও পারিশ্রমিক নিয়ে আপস করেননি তিনি। প্রতি মিনিট শুটিংয়ের জন্য ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি।
রজনীকান্তের পারিশ্রমিক যে আকাশছোঁয়া তা অজানা নয়। ভারতের দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্বের দরবারে তুলে আনার নেপথ্যে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মতো জনপ্রিয় অভিনেতা পর্দায় থাকা মানেই সিনেমা হিট, তা ধরে নেওয়া যেতে পারে।
'লাল সালাম' সিনেমাতে মোট ৪০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন তিনি। এই সিনেমার সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন এ আর রহমান। 'লাল সালাম' সিনেমার একটি গান 'থিমিরি ইয়েজুদা' ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে।
\হসেই গান কোনো জীবিত শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াননি তিনি। কৃত্রিম মেধা প্রযুক্তির মাধ্যমে (এআই) প্রয়াত দুই শিল্পী বাম্বা বাক্য ও শাহুল হামিদের গলার স্বর তৈরি করে গান গাইয়েছেন।