নতুন কাজের মধ্যে এখন কী করছেন?
এর মধ্যে অনেকদিন পর একটি নতুন ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরেছি। ধারাবাহিকটির নাম 'উড়ালপঙ্খী'। এর পরিচালনা করছেন ইদ্রিস হায়দার। ধারাবাহিকটি এখন মাছরাঙা চ্যানেলে প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া এখন নির্মাণ কাজেও সময় দিচ্ছি। সম্প্রতি সাজ্জাদ জহিরের সরকারি অনুদানের সিনেমা 'নিশিবক'-এর শুটিং শেষ করেছি। ছবিটি চলতি বছরেই মুক্তি পাবে।
বর্তমানে টিভি নাটকের মান পুনরুদ্ধারে কী করণীয় বলে মনে করেন?
আসলে এ বিষয়ে আমাদেরকে আরও অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। টিভি নাটক, শিল্পী-কলাকুশলীদের অনেক সমস্যা ও সংকট রয়েছে- যেগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এ কাজ কারো একার পক্ষে করাও সম্ভব নয়। এটার জন্য আমাদের সকলকেই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এই নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা আছে?
আমাদের টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের মাঝে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এখানে শুধু নাটক নির্মাতাদেরই সংগঠন রয়েছে এমন নয়। নাটক সংশ্লিষ্ট ট্যালি প্যাব, ক্যামেরা থেকে শুরু করে আরও সংগঠন রয়েছে। ভালো কিছুর প্রত্যাশার জন্য এর সবদিক থেকেই গঠনমূলক পরিকল্পনা থাকতে হবে। বিদ্যমান সব সংকট উত্তরণে আমাদের সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে হবে না। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে এবং সব কাজই অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে করা হবে।
কেউ বলছেন, এখন প্রচুর নাটক হওয়ায় ভালো নাটক আড়ালে পড়ে যাচ্ছে!
কথাটা মোটেও ঠিক নয়। বরং এখন নাটকের পরিসর আগের চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত হয়ে ওটিটি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো ভালো কন্টেন্ট বেরিয়ে আসছে। নাটকের গুণগত মান এখন অনেক বেশি ভালো। ওটিটির নাটকগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝবেন এখানে কীরকম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি হচ্ছে। খারাপ কাজ সব সময়েই হয়েছে। কিন্তু খারাপ কাজগুলোর কারণে ভালো কাজগুলো আড়ালে পড়ে যাচ্ছে কথাটা ঠিক নয়।
একক নাটকে চরিত্রের স্বল্পতা ধারাবাহিকে মাত্রাতিরিক্ত হাস্যরস- এগুলো কীভাবে দেখবেন?
নাটকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা সচেতন আছি। আমরা এটা কীভাবে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করব। নাটকগুলোকে আরও বেশি সমাজ ও জীবনঘনিষ্ঠ করায় কী কী করা যায় সে বিষয়ে আমরা গোল টেবিল বৈঠকে সবার মতামত নেয়ার চেষ্টা করব। আমরা তো প্রথমেই বলেছি নাটক নির্মাণে আমাদের অনেক সংকট রয়েছে। সেই সংকট উত্তরণেই আমাদের কাজ কী হবে সেটা আমাদের ইশতিহারে দিয়েছি।
চলচ্চিত্রের জন্য স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু নাটকের জন্য-
আমি বুঝতে পেরেছি আপনি প্রশ্নটি কী করতে যাচ্ছেন। এটাও আমাদের নির্বাচনী ইশতিহারে রয়েছে। আমরাও চাই চলচ্চিত্রে যেমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে সেরকম নাটকের জন্যও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা হোক। কারণ এখন নাটক আর আগের জায়গায় নেই। নাটক আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এজন্য অবশ্যই চলচ্চিত্রের মতো রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ জন্য আমরা প্রয়োজনবোধে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করব। এ উদ্দেশে নাটকেও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের জন্য দাবি তুলবে আমাদের সংগঠন।