নতুন সিনেমার কী খবর?
বর্তমানে 'অপারেশন জ্যাকপট' সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আছি। মুক্তিযুদ্ধের ওপর এই সিনেমাটি। বিশাল বাজেটের এই ছবিটির পরিচালক কলকাতার রাজিব বিশ্বাস। শুটিংয়ে এখন এতটাই ব্যস্ত যে, দম ফেলার সুযোগ নেই। আশা করি, চলতি বছর দর্শক আমার কয়েকটি ভালো সিনেমা উপহার পাবে। হাতে থাকা সিনেমার বাইরে এরই মধ্যে আবার রাখাল সবুজের 'পুলসিরাত' নামে একটি সিনেমার কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলাম। শিগগিরই এটার শুটিং শুরু হবে। ছবিটিতে আমার বিপরীতে আছেন বুবলী। এ ছাড়া সামনে কলকাতার একটি সিনেমায় সাইন করব। ওটা অনেক বড় বাজেটের সিনেমা। এটা রাখাল সবুজের প্রথম সিনেমা। লাঠিয়ালদের সংগ্রামী জীবনের কাহিনী নিয়ে চমৎকার একটি কাজ হবে এটি।
কাজ সম্পন্ন সিনেমাগুলোর মধ্যে কী আছে আর?
ইতোমধ্যে শেষ করেছি অনিরুদ্ধ রাসেলের 'জামদানি' সিনেমার কাজ। এ ছাড়া নীলাঞ্জনা প্রডাকশনের ব্যানারে দেবাশীষ বিশ্বাসের 'তুমি যেখানে আমি সেখানে' এবং ইফতেখার চৌধুরীর 'লন্ডন লাভ' এই দুটোর কাজও প্রায় শেষ প্রায়। আরেকটি সিনেমা হরর-অ্যাকশন ধাঁচের মো. ইকবালের এই ছবিটির নাম 'ডেডবডি'। এটারও কাজও শেষ প্রায়। ছবিটিতে আমার বিপরীতে আছেন কলকাতার অন্বেষা রায়। বর্তমানে আমার দেড় ডজনের মতো সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
নতুন অভিনেতাদের সুপারস্টার হতে দেরি হচ্ছে কেন?
এ নিয়ে কিছু বলার নেই। এই শাকিব খান, তিনি যত সংখ্যক ছবি করেছেন তা কিন্তু একদিনে দুদিনে হয়নি। তিনি বাংলাদেশের একজন বিগ স্টার। তার সময়ের যারা ছিলেন বলতে গেলে তাদের কেউই এখন নেই। আমরা তো তার দুই দশক পরে এসেছি। কাজেই তার জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের আরও অনেক সিনেমা দেওয়ার বাকি আছে; আরও অনেক মুভি দর্শককে দেখানোর আছে। এটাও ভুলে গেলে হবে না যে, শাকিব ভাইও একদিনে স্টার হননি। তিনি যে ছবিতে প্রথম সাফল্য পান সেটাও তো হয়েছে ২০/২১টি ছবি করার পর। এতগুলো ছবি পর্যন্ত যে নির্মাতারা তার ওপর থেকে আস্থা হারাননি সেটাই তো তার জন্য ছিল বিরাট পস্নাস পয়েন্ট। নয়তো তাকেও অনেক আগেই হারিয়ে যেতে হতো। নির্মাতারা তার প্রতি আস্থা রেখেছিল বলেই তার চারশ'র কাছাকাছি মুভি রিলিজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার হয়েছে মাত্র ১০-১১টি।
ওটিটিতে কাজ করে কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
ওটিটিতে মূলত আমি নিজেকে এক্সপেরিমেন্টের জন্য টুকটাক কাজ করি। ১০টা সিনেমার কাজ করলে একটা ওটিটির কাজ করি। একটা ভালো লাগা থেকেই মূলত এই কাজগুলো করা হয় আমার। এর মধ্যে আমার 'শুক্লপক্ষ' তো খুবই ভালো একটি ওয়েবফিল্ম ছিল। ওটিটির কাজ ভালো লাগে আমার এদিক থেকে যে তাদের কাজ খুব শর্ট টাইমেই শেষ হয়ে যায়। সিনেমার কাজের মতো ঝুলে থাকে না। মুক্তিও পায় দ্রম্নত। কাজগুলোও বেশ পরিপাটি। তবে ওটিটিতে ক্রাইম, থ্রিলারই বেশি থাকে। অ্যাকশন তেমন থাকে না।