ইরানের ধর্মীয় পোশাকে জয়া আহসান
প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন ডেস্ক
একই অঙ্গে বহু রূপ, যায় না বোঝা তার স্বরূপ।- কথাটি যেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানের অঙ্গের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
সদ্যসমাপ্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন হয়েছিল বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি 'ফেরেশতে' সিনেমা দিয়ে। একই ঘটনা ঘটল ইরানের তেহরানে ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রম্নয়ারি) ইরানের রাজধানী তেহরানে শুরু হয়েছে ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। যেটি চলবে ১১ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত।
এ উৎসবে ৩৭টি সিনেমা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতা করছে। এর মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আছে ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত 'ফেরেশতে'। এ সিনেমার সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ।
এ উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয় 'ফেরেশতে' (ইংরেজি নাম 'বিউটিফুল লাইস')। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবিটির প্রধান চরিত্রের তিন অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান, রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুমন ফারুক, তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান, পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম ও গল্পকার মুমিত আল রশিদ।
উৎসবে বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া দুই অভিনেত্রী (জয়া ও শিমু) হাজির হয়েছিলেন ইরানের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় পোশাকে। এমনিতেই জয়া আহসান পোশাকের ক্ষেত্রে কোনো রীতিনীতি মেনে চলেন না। কখনো প্রায় একেবারে খোলামেলা পোশাকেও ধরা দেন এই অভিনেত্রী। ইরানে না হয় এই খোলামেলা পোশাক অনুমোদনযোগ্য নয়। কিন্তু ভিন্ন কোনো রাষ্ট্রের জাতীয় পোশাকও কি অনুমোদনযোগ্য নয়। তা না হলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক থাকতে ওই ইরানের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় পোশাক কেন? প্রশ্নটি এখন ঘুরছে-ফিরছে বাংলাদেশের নেটাগরিকদের মধ্যে।
তবে সেই পোশাকের জন্য কেমন প্রশংসিত হয়েছেন সেটা জানা না গেলেও অভিনয়ের জন্য দুজনই প্রশংসিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।