সা ক্ষা ৎ কা র
প্রায় সব নাটকে একই বিষয় গুলিয়ে ফেলছে
সচরাচর নায়িকা বলতে যেমন দেখানো হয় রোজী সিদ্দিকী সেরকম নন। সেই যে ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে প্রচারিত প্রয়াত আমজাদ হোসেনের 'জন্মভূমি' ধারাবাহিক নাটকের 'বিজলি' চরিত্রে এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক অভিনয় করেছিলেন যে, সেজন্য দর্শক আজও তাকে মনে রেখেছে। 'পঞ্চনারী আখ্যান' এর জন্যও আলোচিত তিনি। এ অভিনেত্রীর বর্তমান কাজসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন....
প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
নতুন কোনো কাজে হাত দিলেন?
এখন আমার হাতে প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলো ছাড়া নতুন কোনো কাজ নেই। গত মাসে মো. মোস্তফা কামাল রাজের 'ওমর' সিনেমার ফার্টলুক প্রকাশ পেয়েছে। এই ছবিটিতে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ছাড়া নতুন কাজ বলতে সিনেমা, নাটক, ওয়েবসিরিজ, ধারাবাহিক নিয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত হলেই জানতে পারবেন।
এখনকার সিঙ্গেল নাটকগুলো কি সিঙ্গেল
লাইফের জন্যই?
সেজন্যই তো বেশিরভাগ নাটকে প্রায় একই বিষয়ে গুলিয়ে ফেলছে। চটুল প্রেম-পিরিতির মধ্যেই আটকা পড়ে আছে। মা-বাবা থাকলে থাকল না থাকলে নাই এরকম দায়সারা গোছের নাটকে পরিবার, সমাজ কোথায় আসবে? অথচ আগের নাটকগুলো দেখেন। তখন একজন অভিনয়শিল্পী ১০টি চরিত্রে অভিনয় করলেও সেগুলোকে আলাদা করা যেত। এখন দু-একটি চরিত্রেই নাটক বানিয়ে ফেলছে।
এটা কি নির্মাতাদেরই সীমাবদ্ধতা?
আমি সেরকম বলতে চাই না যে, নির্মাতাদের যোগ্যতা কম বা তাদের বোঝাশোনার সীমাবদ্ধতা আছে। আসলে খরচ বাঁচাতেই এভাবে মাল্টি ক্যারেক্টারের কাটছাঁট করা হচ্ছে। এ অবস্থায় একটি নাটক থেকে পরিবার ও সমাজের কীইবা কাজে আসতে পারে। এমন তো নয়, আমরা যারা নাটক বানাই বা অভিনয় করি সবাই পরিবার বা সমাজ থেকে বেরিয়ে গেছি। পরিবার ও সমাজ বলতে কিছু নেই। পরিবার ও সমাজের মধ্যে বসবাস করেও নিজের ড্রয়িংরুমে বসে নিজের সেই চিরচেনা জগৎটি দেখতে পাব না- তা কী করে হয়? এই ব্যর্থতা তো আমাদেরই।
অনেকে টিভি নাটকে এসে থিয়েটার ছেড়ে দেন- আপনি তো এখনো-
আসলে থিয়েটারই আমার প্রকৃত জায়গা। প্রকৃত অভিনয় যদি শিখে থাকি তা থিয়েটারেই শিখেছি। থিয়েটার আমি কখনো ছাড়তে পারব না। সারাজীবন করে যাব। আমি মনে করি থিয়েটার আমার জন্য অভিনয় শেখার একটা ইনস্টিটিউট।
'পঞ্চনারী আখ্যান'-এর অভিজ্ঞতা
সম্পর্কে কিছু বলবেন?
এটা প্রথমবারের মতো যখন ভার্জিনিয়ায় শুরু করি বেশ কঠিনই মনে হয়েছিল। পরে সময়ের সঙ্গে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার কাছে একজন অভিনয়শিল্পীর জীবনে মঞ্চে একক অভিনয় করা মানে তার পুনর্জন্ম হওয়া। এই কথাটি আমি সবসময়ই বলে থাকি। আমি মনে করি পঞ্চনারী আখ্যান নাটকের মাধ্যমে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে।
এই নাটকে নারী দর্শকদের উপস্থিতি কেমন থাকে?
প্রথমত দর্শক হিসেবে আমি নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করি না। আর এই নাটকটি নারীদেরও লক্ষ করা হয়নি যে, তাতে নারী দর্শক থাকবে। কারণ নাটকটিতে যে সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে সেই সমস্যাটি একান্তভাবেই পুরুষদের। পুরুষতান্ত্রিকতার। আমি চাই আমার এই নাটকটি নারীদের চেয়ে পুরুষ দর্শকরাই বেশি দেখুক। কাজেই দর্শক হিসেবে পুরুষরাই বেশি থাকবে- এটাই আমার বেশি চাওয়া।
নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের কাজ
কেমন মনে করছেন?
একজন অভিনয় শিল্পী তার অভিনয় দিয়ে দর্শকপ্রিয় হন অল্প কয়টি কাজ দিয়েই। এমন না যে, তার সব নাটকই ভালো হবে। ভালো নাটকের অপেক্ষায় বেছে বেছে নাটক করতে গেলেও কেউ নিশ্চয়তাও দিতে পারবে না কোন নাটকটি জনপ্রিয় হবে। তবে এখনকার তরুণ নির্মাতারা ভালো কাজ করছেন। আমি তাদের ব্যাপারে আশাবাদী। তারা আরও ভালো করবেন
সেই সম্ভাবনার পরিচয়ও তাদের
কাজগুলোতে পাওয়া যায়।