রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

নাটকে আর ফেরার ইচ্ছে নেই

মো. সাখাওয়াত হোসেন নিরব- চিত্রজগতে নিরব নামেই খ্যাত। একসময় মডেলিং ও নাটকে কাজ করলেও এখন চলচ্চিত্রের ব্যস্ত তারকা। তার বর্তমান কাজ, দর্শক, অনুদানের ছবিতে তারকাদের আগ্রহ- এসব নিয়ে কথা বলেছেন....
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নাটকে আর ফেরার ইচ্ছে নেই

নতুন শুটিংয়ের মধ্যে এখন কী করছেন?

নতুন কাজের মধ্যে আছে স্পর্শ নামে একটি সিনেমা। ছবিটির পরিচালনায় বাংলাদেশ থেকে আছেন অনন্য মামুন এবং কলকাতা থেকে আছেন অভিনন্দন দত্ত। ছবিটিতে আমার বিপরীতে আছেন কলকাতার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সম্প্রতি এটার শুটিং শেষ হয়েছে। এখন এটার পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে। এ ছাড়া শফিকুল আলম পরিচালিত 'সুস্বাগতম' নামে আরও একটি সিনেমার কাজও শেষ। এখন এটারও পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে। 'সুস্বাগতম' সিনেমায় আমাকে দুটি ভিন্ন বয়সের চরিত্রে দেখা যাবে। এতে আমার বিপরীতে আছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। এ ছাড়া আপাতত নতুন কোনো সিনেমার শুটিং করছি না।

আর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা?

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমার মধ্যে আছে বন্ধন বিশ্বাসের 'ছায়াবৃক্ষ'। ছবিটি সরকারি অনুদানে তৈরি। এ ছাড়া এইচ আর হাবিবের জলকিরণ, সাইফ চন্দনের 'কয়লা'।

আগে তো তারকারা অনুদানের ছবিতে আগ্রহী হতেন না-

এখন হওয়ার কারণ কি?

আগে গল্পের জমাদান থেকে শুরু করে ছবির পস্ন্যানিং প্রভৃতি ভিন্ন রকম ছিল। এখন সিনেমার স্ক্রিপ্ট জমাদান থেকে শুরু করে সবই একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে। ডিফরেন্ট ডিফরেন্ট ভালো গল্প আসছে। গল্প নির্বাচনও ভেবেচিন্তে করা হচ্ছে। তবে এখনকার চলচ্চিত্র তারকারা অনুদানের ছবিতে কেন আগ্রহী হচ্ছেন সেটা বলতে গেলে অনেককিছুই আসে। এখানে অল্পকথায় কিছুই বলা সম্ভব নয়। কিছু বললেও সেটা অন্য রকম হয়ে যাবে- তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

মানসম্মত সিনেমার জন্য একজন শিল্পীর কী করা উচিত?

আমি মনে করি মানসম্মত সিনেমার জন্য একজন শিল্পীর কম সিনেমা করা উচিত। তাতে সিনেমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে ডিরেক্টর ও রাইটারের সঙ্গে প্রপারলি শেয়ার করা যায়। আর সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া ঘন ঘন সিনেমা করলে তার মান আলটিমেটলিই কমে যাবে। আবার মানসম্মত সিনেমার অভাবে হলগুলোও দর্শক টানতে পারছে না। ফলে হল মালিকরা রিটার্নও দিতে পারছে না। তখন তারা মানসম্মত সিনেমা দাবি করে। আবার মানসম্মত সিনেমা বানাতে গেলে যে বাজেটের দরকার সেই বাজেটও প্রযোজক দিতে চাচ্ছেন না। এ রকম উভয়-সংকটের মধ্যে মানসম্মত সিনেমা কীভাবে হবে? এ নিয়ে আসলে প্রচুর ক্যালকুলেশনের ব্যাপার আছে।

সিনেমায় চরিত্র কমে যাওয়ায় অনেক শিল্পী প্রায় বেকার হয়ে পড়েছেন-

বেকার তো নেই! সিনেমা নির্মাণ তো চলছে। অ্যাপনির্ভর, ওটিটি নির্ভর কাজ তো চলছে। তবে এতে নির্মাণের বাজেট অনেক কমে গেছে। পারফর্মারদের ইনভলবমেন্টও অনেক কমে গেছে। তবে আমরাও চাই বড় পর্দার জন্যই সিনেমা বানানো হোক। কিন্তু সিনেমার চলমান প্রেক্ষাপটে বছরের বায়ান্ন সপ্তাহে বায়ান্নটি মানসম্মত বা ব্যবসাসফল সিনেমা মুক্তি দেওয়া কঠিন। এই যে শাকিব ভাই, তার তো বছরে এতো সিনেমা করার কথা না। আর তা না হলে বায়ান্ন সপ্তাহ চালানোর মতো সিনেমাও হয় না।

নাটকে কখনো ফেরার ইচ্ছে আছে?

না, নাটকে আমার ফেরার ইচ্ছে নেই। সেটা সম্ভবও নয়। কারণ এখন একটি সিনেমায় রিপ্রোডাকশন, পোস্ট প্রোডাকশন মিলিয়ে যে সময় দেওয়া হয় তখন নাটকে কাজ করা খুবই কঠিন। এখন যেহেতু আমি পুরোপুরিই চলচ্চিত্রের মানুষ কাজেই নাটকে আমি আর ফিরছি না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে