নতুন পরিকল্পনায় মিশা সওদাগর

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
সিনেমার একটি অ্যাকশন মুহূর্তে মিশা সওদাগর
জায়েদ খানের সঙ্গে একই প্যানেলে নির্বাচন নাও করতে পারেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। যদি নির্বাচন করেন তবে একেবারে নতুন প্যানেলে করবেন- এমনটাই জানালেন অভিনেতা। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে মিশা বলেন, জায়েদের সঙ্গে নির্বাচন করব কি করব না সেটা মুখ্য নয়। যদি শিল্পীরা চান তাহলে নির্বাচন করব। কার সঙ্গে করব এখনো চূড়ান্ত নয়। আমি তো শাকিবের সঙ্গে নির্বাচন করেছি, অমিত হাসানের সঙ্গে নির্বাচন করেছি। এবার হয়তো নতুন প্যানেলে নির্বাচন করব। মিশা সওদাগর বলেন, জায়েদ খান আমার ছোটভাই। তার সঙ্গে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চাই, নতুন নেতৃত্ব আসুক। আমি যদি নির্বাচন করি তাহলে নতুন কারও সঙ্গে করব। আমি সলিড লোক, সলিড কথা বলতেই পছন্দ করি। তাই বলব, জায়েদ খানের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা নেই আমার। মিশা সওদাগর আরও মনে করেন, জায়েদ খান এখন অনেক ব্যস্ত। ওর হাতে এখন অনেক কাজ। তাই ওর রেস্ট নেওয়া উচিত। বর্তমানে শিল্পী সমিতি যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে তার চেয়েও ভালো অবস্থানে নেওয়া যায় বলেও জানালেন এই অভিনেতা। তার কথায়, সমিতির বর্তমান কমিটি কি করেছে সে আলোচনা-সমালোচনাতে যেতে চাই না। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আমার বড়ভাই আর নিপুণ আমার ছোট বোন। তাদের ছোট করতে চাই না। যা সম্ভব হয়েছে তারা তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে। ভালো-খারাপ বলার মালিক সমিতির সদস্যরা। অনেকের সঙ্গে আমার কথাও হয়, সেই প্রেক্ষিতে বলছি- এর থেকে আরও বেটার পদক্ষেপ নেওয়ার অনেক জায়গা ছিল। এদিকে, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মিশা সওদাগরের ডজনখানেক সিনেমা। এর মধ্যে নির্মাতা বদিউল আলম খোকনের 'আগুন', শাহীন সুমনের 'কুস্তিগির' শুটিং শেষ করেছেন মিশা। এ ছাড়া মোহাম্মাদ ইকবালের 'রিভেঞ্জ', 'ডেড বডি', রায়হান খানের 'পায়েল', রোমানের 'লিপস্টিক', মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের 'ডার্ক ওয়ার', হাসিবুর রেজা কলেস্নালের 'কবি'র শুটিং শুরু করেছেন। সর্বশেষ তিনি যুক্ত হয়েছেন সানী সানোয়ার পরিচালিত নতুন সিনেমা 'এশা মার্ডার' ও দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর 'অপারেশন জ্যাকপট' সিনেমায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে চিত্রনায়ক প্রসঙ্গত, জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যকার সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত সুরাহা না হলেও এখন দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে পরবর্তী নির্বাচন। আজই সমিতির বৈঠকে এ বিষয়ে তার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে এবারের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন। শিল্পী সমিতির দায়িত্বে থেকে টানা ১৩ বছর কাজ করেছেন মিশা সওদাগর। জায়েদ খানের সঙ্গেই ছিলেন দুইবারের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্বে। তবে এবার তার সঙ্গে থাকতে চান না। এমন অবস্থায় তাহলে জায়েদ খানের গন্তব্য কী? যদিও এ সম্পর্কে জায়েদ খান এখনো তার ফেসবুক বা গণমাধ্যমে কিছু বলেননি কাজেই মিশা সওদাগরের এই সাফ ঘোষণায় তিনি তার পথচলার সঙ্গী সংকটে ভেঙে পড়বেন নাকি আরও বেশি চাঙা হবেন সেটা বোঝা যাবে তার পরবর্তী ঘোষণাতেই। আর এও তো অস্বীকার করার উপায় নেই, তিনি যে দু দফায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেটা মিশা সওদাগরের ব্যক্তিগত ইমেজকে সঙ্গে করেই। আবার তৃতীয়বার যে জয়লাভ করেও একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলায় জড়িয়ে তিনি যে শিল্পী সমিতির চেয়ারে একদিনের জন্য কিছুক্ষণের জন্য নিজ উদ্যোগে বসতে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে আইনি মারপঁ্যাচে আর বসতেই পারলেন না, সেই বসার চেয়ারটি আর কখনো তিনি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন? সেক্ষেত্রে তার প্যানেলের আগামী সঙ্গী কে হবেন সেটা হয়তো আজ থেকেই নতুন করে ভাবতে হবে জায়েদ খানকে।