ভারতের সিনেমা জগতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি ফিল্মফেয়ারকে অন্যতম হিসেবে ধরা হয়। চলতি বছরে এটি পা রাখল ৬৯ বছরে। সেদিক থেকে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের আগেই ফিল্মফেয়ার পুরস্কারটি প্রবর্তন করা হয়। এই পুরস্কার আয়োজনের মূল নাম ছিল 'দ্য ক্লেয়ারস'। ১৯৫৪ সালে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রবর্তনের ১৯ বছর পর ১৯৭৩ সাল থেকে ভারত সরকারের চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদান করে আসছে। সে হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয় ১৯৫৪ সালে ১৯৫৩ সালের চলচ্চিত্রের জন্য। ভারত সরকার পরে ১৯৭৪ সাল থেকে সারা ভারতের বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রগুলোকে সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাষার জন্য 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' হিসেবে আলাদা পুরস্কার প্রদান শুরু করে।
তবে 'দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার'ই ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার।
প্রতি বছর বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সেরা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। রোববার গুজরাটের গান্ধীনগরের গিফট সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্রের অন্যতম বড় সম্মানের এই আসর।
এ বছর ফিল্মফেয়ারে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার ঘরে তুলেছে 'টুয়েলভথ ফেল'। সেরা অভিনেতা রণবীর কাপুর এবং সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন আলিয়া ভাট। সেরা পরিচালকের ফিল্মফেয়ার ওঠেছে বিধু বিনোদ চোপড়ার হাতে। আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজক ডেভিড ধাওয়ানকে। এবারের ফিল্মফেয়ারে একাধিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে টুয়েলভথ ফেল এবং রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি।
এবার যারা এই মর্যাদাপূর্ণ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন তার মধ্যে আছে, সেরা চলচ্চিত্র (জনপ্রিয়)- টুয়েলভথ ফেল, সেরা চলচ্চিত্র (সমালোচক)- জোরাম, সেরা পরিচালক- বিধু বিনোদ চোপড়া (টুয়েলভথ ফেল), সেরা অভিনেতা- রণবীর কাপুর (অ্যানিমেল), সেরা অভিনেতা (সমালোচক)- বিক্রান্ত মাসে (টুয়েলভথ ফেল), সেরা অভিনেত্রী- আলিয়া ভাট (রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি), সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক)- রানি মুখার্জি (মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে) এবং শেফালি শাহ (থ্রি অফ আস)। সেরা সহ-অভিনেতা- ভিকি কৌশল (ডানকি), সেরা সহ-অভিনেত্রী- শাবানা আজমি (রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি), সেরা গীতিকার- অমিতাভ ভট্টাচার্য (তুম কেয়া মিলে- রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি)। সেরা মিউজিক অ্যালবাম- অ্যানিমেল (প্রীতম, বিশাল মিশ্র, মনন ভরদ্বাজ, শ্রেয়াস পুরানিক, জানি, ভূপিন্দর বাব্বল, অসীম কেমসন, হর্ষবর্ধন রামেশ্বর, গুরিন্দর সিগাল), সেরা পেস্ন-ব্যাক গায়ক (পুরুষ)- ভূপিন্দর বাব্বল (আরজন ভ্যালি-অ্যানিমেল), সেরা পেস্ন-ব্যাক গায়িকা- শিল্পা রাও (বেশরম রং-পাঠান)। উদীয়মান সংগীত প্রতিভা (আরডি বর্মন অ্যাওয়ার্ড)- শ্রেয়াস পুরানিক (সাতরঙ্গা, অ্যানিমেল), সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর- সঞ্চিত বালহারা এবং অঙ্কিত বালহারা (গাঙ্গুবাই কাঠিওয়াড়ি), সেরা গল্প- অমিত রাই (ওএমজি ২)/ দেবাশীষ মাখিজা (জোরাম), সেরা চিত্রনাট্য- বিধু বিনোদ চোপড়া (টুয়েলভথ ফেল), সেরা সংলাপ- ঈশিতা মৈত্র (রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি)। সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর- হর্ষবর্ধন রামেশ্বর (অ্যানিমেল), সেরা সিনেমাটোগ্রাফি- অবিনাশ অরুণ ধাওয়ারে (থ্রি অফ আস), সেরা কস্টিউম ডিজাইন- শচীন লাভলেকার, দিব্য গম্ভীর, নিধি গম্ভীর (শ্যাম বাহাদুর), সেরা সম্পাদনা- জাসকুনওয়ার সিং কোহলি- বিধু বিনোদ চোপড়া (টুয়েলভথ ফেল)। সেরা ভিএফএক্স- রেড চিলিস ভিএফএক্স (জওয়ান), সেরা কোরিওগ্রাফি- গণেশ আচার্য্য (ঝুমকা- রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি), সেরা অভিষেক (পরিচালক)- তরুন দুদেজা। সেরা অভিষেক (পুরুষ)- আদিত্য রাওয়াল (ফরজ), সেরা অভিষেক (নারী)- অলিজে অগ্নিহোত্রী (ফ্যারে), আজীবন সম্মাননা- ডেভিড ধাওয়ান।