মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট। মার্কিন সঙ্গীতে এই গায়িকা দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে স্টেজ মাতিয়ে আসছেন। উপহার দিয়েছেন বহু শ্রোতাপ্রিয় গান। বলা যায়, এখন তাকে একজন বিশ্বসঙ্গীতে একক আধিপত্য বিস্তারকারী। পাশাপাশি অল্পসময়েই একাধিকবার ঝুলিতে তুলেছেন গ্র্যামি, এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড এবং বিলবোর্ড অ্যাওয়ার্ড। জনপ্রিয়তা, স্বীকৃতি- কী পাননি ৩৪ বছর বয়সি এই সঙ্গীতশিল্পী! তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছরটা গেছে তার আগের সব অর্জনগুলোকে ছাপিয়ে। টাইম সাময়িকীর চোখে ২০২৩ সালে সব মাধ্যমের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বেশিরভাগ সময় এই সাময়িকীর স্বীকৃতি পান বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। সুইফটের মতো গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পীর এই স্বীকৃতি তাই ব্যতিক্রমই বলতে হবে। পাশাপাশি চলতি বছর সুইফটের কনসার্ট নিয়ে যেভাবে মাতামাতি হয়েছে, সেটাকে অনেক সমালোচক তরুণ বয়সের ম্যাডোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সুইফটের গানের সাংস্কৃতিক প্রভাব তো বটেই, আছে বিরাট অর্থনৈতিক প্রভাবও।
এবার সেই মার্কিন পপ তারকা ও অভিনেত্রী টেইলর সুইফটও ডিপফেকের শিকার হলেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (টুইটার) গায়িকার যে ডিপফেক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, তা ইতোমধ্যে দেখেছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ। আর এ কারণে খুবই বিরক্ত সুইফট। তিনি এর নির্মাতাদের নরকের অভিশাপ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি খুবই বিব্রত ও বিরক্ত এসব নিয়ে। এগুলো যারা করে, তারা নরকে যাক।'
এ ঘটনায় বিরক্ত সুইফট ভক্তরাও।
ৎতারা খুঁজে বের করেছেন এমন এক নেটাগরিককে, যিনি টেইলরের ডিপফেক ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রথমবার শেয়ার করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গায়িকার অনুরাগীরা। তবে, পিছু হটতে রাজি নন সেই অভিযুক্তও। তিনি একটি টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি নাকি 'জোকার'র মতো। তার না আছে কোনো নাম, না আছে কোনো ঠিকানা।
অভিযুক্তের আরও দাবি, সুইফটিরা যতই নিজেদের ক্ষমতাশালী হোন না কেন, তারা নাকি কোনোভাবেই তার নাগাল পাবেন না।
এদিকে, টেইলর সুইফটের সঙ্গে এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ডিপফেকের বিষয়ে সতর্ক করে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে। তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটাই করা হবে।