বলিউডের স্টার কাপল হিসেবে প্রথমেই আসবে সাইফ-কারিনার নাম। তবে ক্যামেরার সামনে হাতেগোনা কয়েকটি ছবি বাদে, তাদের খুব বেশি দেখা যায়নি। অন্যদিকে সাইফ-রানী জুটির অনেক সফল ছবি রয়েছে বলিউডে। যেখানে তারা 'হাম তুম', 'তারা রাম পাম', 'বান্টি অর বাবলি', 'থোড়া পেয়ার থোড়া ম্যাজিক' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
দর্শকদের খুবই পছন্দের জুটি সাইফ-রানী। তবে বাস্তবেও রানী-সাইফ খুবই ভালো বন্ধু। কাজ ছাড়াও অনেক কথা একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেন দুজনে। বিয়ের আগে সাইফকে খুব গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও দেন রানী যা সাইফের জীবন বদলে দেয়।
একটি সাক্ষাৎকারে রানীর এ কথা জানান সাইফ নিজে। কারিনা কাপুরের সঙ্গে তার বিয়ে এবং প্রেম পর্বটির সম্পর্ক নিয়ে সাইফ আলি খানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে খুব মজার তথ্য দেন সাইফ যা সবাইকে অবাক করে সাইফ বলেন যে, রানীই নাকি সাইফকে কারিনাকে ডেট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন!
টাটা পেস্ন বিঞ্জের 'নাউ বিঞ্জিং'-এ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সাইফ আর কারিনা। আর সেখানেই লাভ লাইফ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় সাইফ জানান, তিনি আর কারিনা সম্পর্কে আছেন জানানোর পর, পরামর্শ এসেছিল অভিনেত্রী রানী মুখার্জির কাছ থেকে যা মাঝে মধ্যে এখনো তার কাজে আসে।
সাইফের কথায়, 'রানী সত্যিই দুর্দান্ত। আমি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব আগের চেয়ে বেশি উপভোগ করি। আমার মনে আছে, আমরা শুটিং করছিলাম। তখনো ও সিঙ্গেল। ভালোবাসার মানুষ আসেনি ওর জীবনে। আমাদের প্রেমের খবর পেয়েই বলেছিল, চল আমরা নন-স্টপ, জলদি জলদি করে শুটিং শেষ করে নেই। কোনো ডে অফ নেওয়ারও প্রয়োজন নেই।'
আসলে রানী শুনেছিলেন, সাইফ ও কারিনা একসঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন। তাই চেয়েছিলেন সাইফ আলী খান যেন সব কাজ দ্রম্নত শেষ করতে পারেন। সাইফ আরও বলেন, 'রানী আমাকে বলেছিল, মনে রেখো বাড়িতে দুজন নায়ক। সে যা বোঝাতে চেয়েছিল আমি বুঝেছিলাম। এখনো আমি রানীর সেই পরামর্শ মেনে চলি। যখন একজন কাজ করে আমাদের মধ্যে, অন্যজন সময় দেয় বাচ্চাদের। আমি এটা বুঝতে পেরেছি, এটি সত্যিই ভালো পরামর্শ ছিল, দুর্দান্ত পরামর্শ ছিল। আমার বুঝতে অসুবিধে হয়নি ও দুজনের মধ্যে সমতা রাখার কথা বলেছিল।'
২০০৪ সালে যখন অমৃতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন সাইফ আলী খান তখন তাদের দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিম বেশ ছোট। এরপর রোজা ক্যাটালানোর সঙ্গে বছর দুয়েক ডেট করেন। ২০০৮ সালে 'তাশান' সিনেমার সেটে কারিনার প্রেমে পড়েন। আর শুরু করেন ডেটিং। তাদের বিয়েটা হয় ২০১২ সালে।