সা ক্ষা ৎ কা র

আমার গান বিক্রি করি না

জাকিয়া সুলতানা কর্নিয়া- তরুণ প্রজন্মের আলোচিত ও গস্নামারার্স কণ্ঠশিল্পী। ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে পপ, ফোক, রোমান্টিকসহ প্রায় সব ধরনের গান করেন তিনি। বেশকিছু পেস্ন-ব্যাকও করেছেন। আসিফ আকবরসহ অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে গান করেছেন। তার বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন....

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এখন নতুন কাজ কেমন হচ্ছে? ইতোমধ্যে আমার একটা গান তৈরি হয়ে গেছে। সামনেও কয়টি লাইভ শো আছে। এ ছাড়া আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেও কয়টি মিউজিক ভিডিও আসছে। তাতে পপ গানের পাশাপাশি ফোক, রোমান্টিক গানও থাকছে। আর স্টেজ শোয়ের ব্যস্ততা কেমন? গত দুই মাস তো ঘরে বসেই সময় কাটাতে হলো। স্টেজ শো করা হয়নি তেমন। বিশেষ করে আউট ডোরে। তার মানেই এই নয় একেবারেই বসে ছিলাম। কিছু নতুন গান রেকর্ডিং করা হয়েছে। আপনি তো ফাস্ট গান করেন- সিনেমায় আইটেম গান কেমন করেন? আমার আইটেম সং হয়েছে। তবে খুব বেশি হয়নি। আমি ফাস্ট গান গাই বলে সিনেমায়ও আমার আইটেম সং থাকবে এমন নয়। রোমান্টিক গানও হয়েছে। তবে আমার মেলোডিয়াস গানই বেশি করা হয়েছে। একটা রক ভার্সনের গানও করা হয়েছে। আইটেম সং, রক মিলিয়ে আমার চার/পাঁচটি হবে। খুব বেশি করিনি। টাইটেল গান কেমন হয়? টাইটেল গানও আমার কয়েকটি সিনেমায় হয়েছে। এরমধ্যেও একটি সিনেমায় টাইটেল সং করেছি। সাজ্জাদ খান পরিচালিত সিনেমাটির নাম 'কাঠ গোলাপ'। গানটির কথা লিখেছেন সোমেশ্বর অলি। সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন মার্সেল। সিনেমাটি সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছে। নাটকেও তো এখন দেদারছে গান আসছে? নাটকে আমারও গান মোটামুটি থাকে। তবে নাটকের ক্ষেত্রে একটা ঝামেলা হলো তারা হুট করে গান করার প্রস্তাবটি দেয়। তখন হয়তো আমার অন্য কোনো গানের জন্য শিডিউল করা থাকে। সেজন্য এভাবে অনেক নাটকেরই গান করা হয় না। সিনেমাতেও এমন হয়। গত রোজার ঈদেও এমন একটি নাটকে আমার গান করার প্রস্তাব আসে। কিন্তু অন্য একটি অনুষ্ঠানে চুক্তিবদ্ধ থাকায় সেটা করতে পারিনি। আই হোপ, এবারে যদি চান্স হয় তবে নাটকের গানেও ভয়েস দেব। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বছর কয়টা গান তোলেন? বছরে কয়টা করি সেরকম হিসেবে গান করি না। তবে মাসে দুটোর মতো গান করি। সে হিসেবে বছরে পাঁচ/ছয়টি গান আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করি। তবে সবই মৌলিক নয়। কিছু কাভার সংও থাকে। সেখান থেকে কোনো গান সেল করেন? আসলে গান সবসময় আপ হওয়ার আগেই সেল হয় বা স্পন্সর পাওয়া যায়। তবে আমি আমার গান সেল করি না। এখন পর্যন্ত কাউকে দিইনি। অনেকেই বলছে তবে সুযোগ সুবিধা যদি ভালো হয় তাহলে দেব। যদি সুযোগ সুবিধা ভালো না হয় তাহলে কেন আমি দেব। গান নিয়ে কোনো পরিকল্পনা? আমি সব সময়েই পরিকল্পনা করে এবং সময় নিয়ে গান করি। যাতে গানের কোয়ালিটি রক্ষা করা যায়। কীভাবে শ্রোতার কাছে গানটি ঠিকমতো পৌঁছানো যায় সেরকম একটা তো পরিকল্পনা থাকেই আমার। ইচ্ছা আছে আরও ভালো গান করার। যে গানের মধ্যদিয়ে শ্রোতার হৃদয়ে যুগ যুগ থাকতে পারব।