কেমন আছেন, কেমন চলছে গান-বাজনা?
ভালোই আছি। গান-বাজনা বলতে এর মধ্যে আমার নিজের কথা, সুর ও পরিচালনায় নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কাজ করছি। এ ছাড়া কনসার্টের জন্য নতুন করে তৈরি হচ্ছি। গত বছরের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো 'দ্য নাইট অব প্রীতম হাসান' নামে একক কনসার্ট করেছিলাম। সামনে এ রকম আরও করার ইচ্ছা আছে।
আপনার গানে যে ফিকশনের ব্যাপার থাকে- এটা কীভাবে আসে?
গানের বিষয়ে আমি সবসময়ই বৈচিত্র্যপ্রিয়। 'খোকা', 'আসো মামা হে', 'জাদুকর', 'শেষ কথা' বা 'মরে যাক' এ রকম অনেক গানেই এক ধরনের ফিকশনাল ব্যাপার আছে, তবে এসব আসে গানের চাহিদাতেই। এভাবেই আমি শ্রোতাকে স্টোরি ও সুরের জাদুতে সম্মোহিত করতে চেয়েছি। এতে সাইকেডেলিক, ডিস্কো, সিন্থওয়েভ- তিন কম্বিনেশনে ভিন্ন ভিন্ন আইডিয়ায় গড়া যে থ্রিলারও থাকে- সেটা কিন্তু আমাদের এখানে একদমই নতুন। এভাবে আমার সব গানেই একটা স্টোরি থাকে। আমার সব গানই দেখবেন একটা থেকে আরেকটা ভিন্ন।
এসব গানে তো আবার ফ্রাসটেশনেরও
ব্যাপার থাকে!
আমি এ পর্যন্ত বন্ধুদের কাছে যত প্রেমের গল্প শুনেছি, এর বেশির ভাগেই এই ফ্রাসটেশনজনিত ইমোশনের বিষয় থাকে। আমাদের অসংখ্য প্রেমের গানেই এই ইমোশনের বিষয়টি এসেছে। বিশেষ করে পেস্ন-ব্যাকে। আমি অডিও বা ভিডিওতে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
আপনার গান শ্রোতারা কেন শুনবে বলে মনে করেন?
কারণ, আমি আমার গানগুলোতে সব সময়ই বাংলা সুর ব্যবহার করেছি। কারণ, আমি চাই, শ্রোতারা এই গান শুনে বাংলা সুরের সৌন্দর্য উপলব্ধি করুক।
আপনার গানের ভিউও অনেক-
এতে কেমন লাগে আপনার?
খুবই ভালো লাগে। সে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ভিউ দিয়ে গানের বিচার করি না আমি। অনেক গানেই কোটি ছাড়ানো ভিউ আছে। কিন্তু দুই সপ্তাহ পরই সেগুলোর কোনো খোঁজ থাকে না আর।
কোনো আলোচনাও হয় না। যেটুকু আলোচনা হয়, সেটা নেগেটিভলিই হয়। পজিটিভলি নয়। আমি এমন ভিউর গানে নেই। আমার গানে থাকবে সম্পূর্ণ ইতিবাচক ও সময়ের গল্পের কিছু। প্রত্যেক শিল্পীরই দায় আছে, নিজের সময়কে গল্পে বলে যাওয়ার- আমি আমার গানে যে সময় মরে না- সেটাই তুলে ধরছি।
নিজের গান নিয়ে কোনো স্বপ্ন দেখেন?
আমাদের দেশের বাউলশিল্পী ও আন্তর্জাতিক শিল্পীদের নিয়ে যৌথ কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের সঙ্গীতের নতুন স্বাদ পৌঁছাতে চাই।
আর আমার সঙ্গীত যেন শুধু তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আমার গান যেন সবাই এনজয় করে।
আপনি তো গানের পাশাপাশি
অভিনয়ও করছেন?
হঁ্যা, এর মধ্যে 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া' নামের একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং শেষ করেছি। এটার পরিচালক শিহাব শাহীন। এতে আমার সঙ্গে আছেন- তাসনিয়া ফারিণ। দেশের পাশাপাশি সিনেমাটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। মুক্তি পাবে এ বছরের যে কোনো সময় 'চরকি'তে।