বাংলাদেশ, ভারতসহ একসঙ্গে পাঁচ দেশে মুক্তি পেয়েছে মোশাররফ করিমের সিনেমা 'হুব্বা'। এদিন বাংলাদেশে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। একটি সাইমন সাদিক অভিনীত 'শেষ বাজি' এবং অপরটি পরীমণি অভিনীত 'কাগজের বউ'। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে একই দিন দুটির বেশি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার রেকর্ড নেই, কিন্তু এদিন কলকাতার সিনেমা 'হুব্বা'সহ তিনটি সিনেমা মুক্তি পায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে। শুক্রবার দেশের ৬৩ প্রেক্ষাগৃহসহ ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং আরব আমিরাতে একই দিন মুক্তি পেয়েছে 'হুব্বা'। 'হুব্বা' পরিচালনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা-নির্মাতা ব্রাত্য বসু।
বাংলাদেশের সিনেমা যেখানে 'শেষ বাজি' পায় ১৭টি প্রেক্ষাগৃহ এবং 'কাগজের বউ' পায় মাত্র আটটি প্রেক্ষাগৃহ, সেখানে কলকাতার সিনেমা 'হুব্বা' ৬৩টি প্রেক্ষাগৃহ পাওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে।
'হুব্বা' সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে ওপার বাংলাতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশেরই ছোট পর্দার তারকা অভিনেতা মোশাররফ করিম। অন্যেরা যে যা-ই বলুক, 'হুব্বা' সিনেমাটি দুই বাংলায় একই সঙ্গে মুক্তি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত মোশাররফ ভক্তরা।
এরই মধ্যে ছবিতে মোশাররফের অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির ডনখ্যাত হুব্বা বিমলের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে হুব্বা চরিত্রে দাপুটে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তাই সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি অনেক তারকাও প্রশংসা করছেন ছবিটির। যেমন ছবিটি দেখে প্রশংসাসূচক একটি চিঠি লিখেছেন আরেক অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে তিনি এই চিঠি লিখেন।
চিঠির শুরুতে ভাবনা লিখেছেন, 'প্রিয় মোশাররফ করিম, গতকাল 'হুব্বা' দেখছি। আমি সিনেমা হলে গিয়ে দেখি, দায়িত্ব নিয়েই দেখি। মোশাররফ করিম আমাদের সবার প্রিয় অভিনেতা, আমার সঙ্গে তার সম্পর্কটা ছিল একদম বাবা-মেয়ের মতন। আমি সব সময় আমার বাবার চেহারার সঙ্গে এই লোকটার চেহারার মিল পাই। গতকাল হলে গিয়েও বারবার তাই মনে হচ্ছিল। বাবা-মেয়ের যেমন অকারণে অভিমান হয়, আমাদেরও হয়তো তাই হয়েছিল, তাও অন্য লোকের কারণে। ছোট ছিলাম, আবেগ ছিল ভয়ংকর, তাই রাগও করেছিলাম অনেক। সেও বাবার মতো করেই আমার সব কথা চুপ করে শুনেছে। বাবার মতোই কিছুই বলেনি। বড় মানুষেরা এমনই হয়।'
এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, 'শোনো তোমাকে বলছি, 'হুব্বা' হয়ে যা দেখাইলা তুমি বাবারে বাবা। তুমি জানো তুমি কত বড় অভিনেতা, একের পর এক সিনেমা করো। কারণ, তুমি ১০০-তে ২০০। আর আমি আবার জিতে গেলাম। আমার কোনো সিনেমা হলে গিয়ে তুমি দেখে আমাকে একটা ফোনও করনি। যদিও রিলিজই হয়েছে মোটে দুটি। অনেক ভালোবাসা, কালকে হলে তোমাকে দেখে যেমন খুশি হয়েছি, তেমনি মনটাও খারাপ হয়েছে। তোমাকে অনেক দিন দেখি না, আড্ডাও হয় না। আমি কিন্তু অনেক বড় হয়ে যাচ্ছি, পরে আমার চেহারা চিনতে অসুবিধা হবে। ইতি, ভাবনা'