ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। খুব অল্প সময়েই সিনেমাপ্রেমীদের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন এই নায়িকা। এরপর দেশের সীমানা পেরিয়ে কলকাতায় নিজের নাম লেখালেন বুবলী। একদিকে যেমন তিনি প্রথমবারের মতো ওপার বাংলার সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন অন্যদিকে শুরুতেই আশা জাগালেন ওপার বাংলার নির্মাতাদের।
ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলীর ক্যারিয়ারের প্রথম কলকাতার সিনেমায় তার চরিত্রের লুক প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি সামনে এসেছে এই সিনেমায় তার দুই সহশিল্পী কৌশিক গাঙ্গুলি ও সৌরভ দাসের লুকও।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে- বুবলী, কৌশিক ও সৌরভের চরিত্রের নাম অঞ্জন, ডিকে এবং শ্বেতা। 'ফ্ল্যাশব্যাক' পরিচালনা করছেন রাশেদ রাহা।
সিনেমার শুটিংয়ের কাজে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতায় উড়াল দিয়েছেন বুবলী। এরই মধ্যে কলকাতা পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে, পরবর্তী শুটিং হবে ডুয়ার্সে।
এ মাসের মধ্যেই শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে 'প্রহেলিকা' সিনেমার এ নায়িকার।
নির্মাতা রাশেদ রাহা ফ্ল্যাশব্যাককে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বলছেন। চিত্রনাট্য এগিয়েছে পাহাড়ের প্রেক্ষাপটের গল্পে।
এতে দেখা যাবে, মঞ্চনাটকের এক সময়ের স্বনামধন্য এক অভিনেতা অঞ্জন। বহুদিন হলো সব ছেড়েছুড়ে অনেকটাই অদৃশ্য তিনি। এখনো অঞ্জন অভিনয় করেন, তবে মঞ্চে কিংবা পর্দায় নয়, বাস্তবে।
বাস্তবের দৃশ্য চলতে চলতে তার অভিনয়ের চিত্রনাট্য লেখা হতে থাকে। এভাবেই হঠাৎ একদিন অঞ্জনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ডিকে ও শ্বেতার। ডিকে স্বভাবে ভবঘুরে। আর শ্বেতা তরুণ ফিল্মমেকার। তিনজনের একসঙ্গে চলার কয়েকটি দিন সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়েও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।
বুবলীকে নির্বাচনের কারণ জানিয়ে নির্মাতা রাশেদ রাহা বলেন, শ্বেতা চরিত্রটির জন্য আমাদের বিবেচনায় অনেকেই ছিল। তবে আমাদের মনে হয়েছে, বুবলী ভালো করবে। সে যথেষ্ট পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল। এখন পর্যন্ত তার যতগুলো দৃশ্য সম্পন্ন হয়েছে, আমরা সন্তুষ্ট ও ভীষণ আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, 'ফ্ল্যশব্যাক' সিনেমা দিয়েই ঢাকাই সিনেমার ব্যস্ত নায়িকা বুবলীর টলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে।
সিনেমাটিতে যুক্ত হয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে অভিনেত্রী তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে লিখেন 'আমার প্রথম কলকাতার সিনেমা 'ফ্ল্যাশব্যাক' শুরু করতে যাচ্ছি। অনুগ্রহ করে সবাই আমাকে সব সময়ের মতো আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন।'
ছবিটি মুক্তি পাবে ভারতে। যৌথ প্রযোজনায় নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও কাজী জাফরিন মুন। নিবেদনে এ বস্নু হোয়েল এন্টারটেইনমেন্ট ও বিগ আর এন্টারটেইনমেন্ট। ফেব্রম্নয়ারি মাসে ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
শবনম বুবলীর চরিত্রটি হবে 'ছবির পরিচালক'-এর ভূমিকায়। এই সিনেমাটির মুক্তি দিয়েই বুবলীর ক্যারিয়ারে যুক্ত হবে কলকাতা অভিযানের নতুন অধ্যায়। যেহেতু শুরুতেই কলকাতার নির্মাতারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন কাজেই আশা করা যাচ্ছে আগামীতে বুবলী ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিও মাতাবেন। অনেকে বলেছিলেন শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাধার সুবাদেই বুবলীর ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হয়েছে। এখন যেহেতু শাকিব খানের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটেছে তাই তার ক্যারিয়ারেরও মৃতু্য ঘটবে। বুবলী আর ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ক্যারিয়ার টেনে নিয়ে যেতে পারবেন না। অপু বিশ্বাসের মতো তাকেও হারিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সবার সেই আন্দাজ মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি ঢাকাই সিনেমার সীমানা পেরিয়ে কলকাতার সীমানায় আরও উজ্জ্বল এক ঠিকানায়।