সা ক্ষা ৎ কা র
গল্প ও চরিত্রই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ
ইয়াশ রোহান- একই সঙ্গে ছোটপর্দা ও বড় পর্দায় অভিনয় করে থাকেন। চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের 'স্বপ্নজাল' দিয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। বড় পর্দায় অভিষেকের আগে ২০১৫ সালে ইয়াশ 'ডুব' শিরোনামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা ও এতে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া ২০১৬ সালে 'লাল কাগজের টাকা' শিরোনামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মের এই অভিনেতা চলমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন....
প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
কেমন ব্যস্ততা যাচ্ছে এখন?
ব্যস্ততা বলতে এখন আমি নাটক-টেলিফিল্ম নিয়েই কাজ করছি। শোবিজের সব মাধ্যমেই কাজ করছি এখন। এরমধ্যে কিছু কাজ শেষ করেছি। তবে এগুলোর নাম সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চাইছি না আমি।
ইতোমধ্যে মুক্তি পাওয়া কোন কন্টেন্ট আপনার জন্য চিত্তাকর্ষক?
ইতোমধ্যে আবিদ মলিস্নক পরিচালিত ওটিটি পস্ন্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে আমার 'হাতবদল'। এটা আমার জন্য খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। কারণ এটাতে আমার কো-আর্টিস্ট ছিল কুকুর। এতে আমি খুব খুশি হয়ে যাই। কুকুর-বিড়াল আমার খুব পছন্দের। কাজের আগের দিন সেটে গিয়ে কুকুরের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। কুকুরটির সঙ্গে এক ধরনের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। খুবই নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা আমার জন্য।
পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্রেই অভিনয়ে আসলেন?
আমার দিক থেকে সেটার একটা প্রভাব থাকলেও প্রথম দিকে বাবা কিন্তু চাইতেন না আমি এই প্রফেশনে কাজ করি। তবে মা চাইতেন আমি অভিনয়টা যেন চালিয়ে যাই। তারপর যখন একটা সিনেমা করলাম এবং সেজন্য নানা জন থেকে প্রশংসিত হতে থাকলাম তখন দেখি বাবাও আমার অভিনয় করা নিয়ে কিছু বলছেন না। তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার অভিনয়ের প্রতি বাবার সমর্থন আছে এবং তিনি আমার অভিনয়টা ভালোই উপভোগ করেন। এটাই আমাকে আনন্দ দেয়। কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
ওটিটিতেও বেশ মানিয়ে গেলেন কীভাবে?
আসলেই এই পস্ন্যাটফর্মটি আমাকে খুবই আনন্দ দেয়। এটাকে আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখি। ওটিটিতে ভালো ভালো কাজ করার সুযোগ হয়েছে পরিচালক ও শিল্পীদের জন্য। নতুন বছরেও আসছে আমার একাধিক ওয়েব সিরিজ।
সিনেমায় অভিষেক হওয়ার স্মৃতি সম্পর্কে যদি কিছু বলেন....
আমার প্রথম সিনেমা স্বপ্নজাল। নায়িকা ছিলেন পরীমনি। অসম্ভব সুন্দর একটি প্রেমের সিনেমা এটি। এই সিনেমার গান, গল্প ভীষণ সুন্দর। এখনো গানগুলো নানা জায়গায় শোনা যায়। স্বপ্নজাল আমার জন্য বিরাট একটা ব্রেক ছিল। পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম আমার মেন্টর। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
নিজের কাজের ক্ষেত্রে কোনটাকে অগ্রাধিকার দেন?
আমি আসলে খুব কাজ করি না। অল্প কাজেই সন্তুষ্ট থাকি। কাজের জন্য কোনো তদবিরও করি না। ভালো গল্পের পছন্দসই চরিত্রের প্রস্তাব পেলে অভিনয় করি। চরিত্র ভালো লাগলেও গল্প মনের মতো না হলে যেমন অভিনয় করি না তেমনই গল্প ভালো লাগলেও চরিত্র না টানলে অভিনয়ে রাজি হই না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমার কাছে চরিত্রই অগ্রাধিকার পায়।
অভিনেতা হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
ভবিষ্যতে অভিনেতা হিসেবে নিজেকে ভালো গল্পে দেখতে চাই। নাটক, সিনেমা, ওটিটি কোনো বিষয় না। সব মাধ্যমে কাজ করতে চাই এবং ভালো গল্পের সঙ্গে থাকতে চাই। অভিনেতা হবো কখনো ভাবিনি। আমি পড়ালেখা করেছি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। ইচ্ছে ছিল সেটি নিয়েই কিছু করব। কিন্তু হয়ে গেলাম অভিনেতা। এখানেই ভালো করতে চাই।