ভিনদেশির হাতে হাত কঙ্গনার
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন ডেস্ক
যেখানেই কঙ্গনা, সেখানেই আলোচনা। কঙ্গনা আর আলোচনা এই শব্দ দুটো যেন বলিউড পাড়ায় সমার্থক হয়ে গেছে। বলিউডের এই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌত এমন একটি নাম বিতর্ক যার পিছু কখনোই ছাড়ে না। কিংবা কঙ্গনা নিজেই বিতর্ককে ছাড়তে চান না। সেটা প্রেমেই হোক আর রাজনীতিতেই হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতেই হোক। তার সিনেমাকে দর্শক যেভাবেই নিক না নিক প্রতি বছরই তিনি কোনো না কোনো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেনই। এটাই যেন তার স্বভাবের বৈশিষ্ট্য। তারকা থেকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিষয়সহ সবকিছুতেই যেমন নাক গলান তেমন হৃদয়ও গলিয়ে দেন তিনি।
এই যেমন হৃত্বিক রোশানের সঙ্গে কঙ্গনার সম্পর্ক নিয়ে কম চর্চা হয়নি বলিউডে। তাদের সম্পর্কের জল আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শুধু হৃত্বিক নয়, কঙ্গনা মন দিয়েছেন একাধিকবার, মন ভেঙেছে বহুবার। তবে বিয়ে করার, সংসার পাতার ইচ্ছা তার বহু দিনের। 'মণিকর্ণিকা' ছবির প্রচারের কাজে এসে নিজেই জানিয়েছিলেন পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে করে থিতু হতে চান। এবার যেন মনের মানুষকে খুঁজে পেলেন কঙ্গনা। শুক্রবার তার হাতে হাত রেখেই সঁ্যালো থেকে বের হলেন অভিনেত্রী।
এক বিদেশি পুরুষের হাত ধরে রূপটান কেন্দ্র থেকে বের হলেন কঙ্গনা। ওই ব্যক্তির পরনে কালো প্যান্ট ও শার্ট। কঙ্গনার পরেছিলেন ফ্লোরাল ফ্রক। হাসিমুখে দেখা গেল দু'জনকেই। এমনিতে সচরাচর কোনো পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে দেখা যায় না কঙ্গনাকে। কঙ্গনার চারপাশে পুরুষ মানে শুধুই নিরাপত্তারক্ষীর ছয়লাপ। এর মাঝেই রহস্যময় এক পুরুষের হাতে যখন হাত রেখেছেন কঙ্গনা, স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে সেই পুরুষের খোঁজ। নাম লইক চাপোইক্সি। ফরাসি এই পুরুষ আসলে ইন্ডাস্ট্রির খুব ঘনিষ্ঠ, খ্যাতনামী কেশসজ্জা শিল্পী। বলিউডের প্রথম সারির সব অভিনেত্রীই আস্থা রেখেছেন তার হাতে কারুকাজের ওপর। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে কেশসজ্জার কেন্দ্র রয়েছে তার। তবে কঙ্গনার সঙ্গে তিনি প্রেম করছেন নাকি নেহাতই বন্ধুত্বের সম্পর্ক, জল্পনা রয়েই গেছে।
তবে কঙ্গনা ব্যক্তিগতভাবে নারীবাদী। তার বেশ কিছু সিনেমা আছে যেগুলোতে তার অভিনয় নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা যায়। কুইন, তানু ওয়েডস মানু সিরিজ, সিমরান, মণিকর্ণিকা বা পাঙ্গা- এ রকম বেশ কিছু সিনেমায় এমন কেন্দ্রীয় চরিত্র আছে যেগুলোতে কঙ্গনাকে নায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে। তার অনেক ছবিই ব্যবসায়িকভাবে চরম মার খেলেও এই ছবিগুলো ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি তার অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ভালো প্রশংসা পেয়েছে। এসব সিনেমার মাধ্যমে নায়ক প্রধান বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কঙ্গনা একাই সিনেমা টেনে নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা দেখিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিজের ঝুলিতে ভরেছেন- যা তার সময়ের অন্য কোনো অভিনেত্রী পারেননি। কঙ্গনা রানৌত অভিনীত কিংবদন্তি তামিল অভিনেত্রী ও অসম্ভব জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ জয়ললিতার বায়োপিকে অভিনয় করেও তুমুল শোরগোল ফেলে দেন। যদিও 'থালাইভি' নামের এই সিনেমায় তার ফার্স্টলুক সমালোচিত হয়েছিল। তবে ছবিটি মুক্তির পর সব প্রশংসা যেন একাই কুড়িয়েছেন কঙ্গনা। এখন এই ফরাসি সৌরভ তাকে আরও কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।