সা ক্ষা ৎ কা র
মিডিয়া শাকিবকে অহেতুক গুরুত্ব দেয়
প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
রত্না কবির সুইটি- ২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় 'কেন ভালোবাসলাম' ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। সেলিম আজম পরিচালিত এ ছবিতে ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। এরপর কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'ইতিহাস' ছবিতে নবাগত কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করেন। সেই থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ অভিনেত্রীর নতুন কাজসহ সিনেমার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন....
কাজ নিয়ে কেমন ব্যস্ততা যাচ্ছে এখন?
সবার যেরকম যাচ্ছে আমারও সেরকম যাচ্ছে। নতুন একটি সিনেমার কাজ করেছি। সেটা হচ্ছে মোসাদ্দেক ফাল্গুন পরিচালিত 'কিশোর গ্যাং স্টার'- এটার শুটিং শেষ হয়ে গেছে এবং অপরটি হচ্ছে রাসেল মিয়ার 'হরতাল'। এটার শুটিং শিগগির শুরু হওয়ার কথা আছে। আর কয়েকটি পুরনো সিনেমা রিলিজের অপেক্ষায় আছে।
'কিশোর গ্যাং স্টার' এর গল্পটি কেমন?
ছবিটি তৈরি হয়েছে এমন একদল কিশোর নিয়ে যাদের লিডিং দেয় এমন একজন, যে সম্পর্কের দিক থেকে নায়িকার খালাত ভাই হয়। যেসব কিশোররা বিপথগামী হয়ে গেছে তাদের ভালো করার জন্য নায়িকা কাজ করে- গ্যাং লিডারকে ভালো করতে কাজ করে- এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যায়। অ্যাকশন, রোমান্টিক, গ্রামবাংলা সবকিছু মিলিয়েই ছবিটি। 'হরতাল' সিনেমাটি রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে। সেখানে নায়কের চরিত্র প্রতিবাদী ভূমিকায় থাকে। তার প্রতিবাদী ভূমিকার পার্ট অফ লাইফ হিসেবে থাকে নায়িকা। ছবিটিতে আমি আছি কেন্দ্রীয় চরিত্রের ভূমিকায়।
ফিল্মে অনেকের বেকার হয়ে পড়ার পেছনে একজনকে দায়ী করেছিলেন- কেন?
কথাটা শাকিব খান সম্পর্কে বলা। সবাই জানেন, আমি কোনো কথায় রাখঢাক রাখি না। যা বলি পষ্টাপষ্টি। আমাদের নায়ক-নায়িকা যথেষ্ট আছে। কাজের সংকট থাকাতেই তাদের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এজন্য শুধু শাকিবকেই দোষ দিব না- আপনারাও (মিডিয়া) এরজন্য দায়ী। মিডিয়া বুঝে না বুঝে শাকিবকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এ কারণে তারা ফোকাসটা শুধু শাকিবের ওপর ধরে রাখে। তখন নির্মাতারাও তার প্রতিই ঝোঁকেন। এই সুযোগে শাকিবও তার নিজের সুবিধাটি কাজে লাগান। নির্মাতারা তার মতামতেই শিল্পীদের কাস্ট করেন। আপনাদের দুর্বল রিভিয়ু্যর কারণে শাকিব খানের মতো সাব স্টান্ডার্ডের অভিনেতাও বড় অভিনেতা হয়ে যাচ্ছে। তাতে শুধু শিল্পীরাই নন- অনেক ক্যামেরাম্যান, মেকআপম্যান, টেকনিশিয়ানও বেকার হতে থাকেন।
এখন তো নতুন ভালো সিনেমা আসছে?
আসলে প্রেক্ষাগৃহ যদি না বাড়ে তাহলে যতই সিনেমা হোক তাতে তো বাণিজ্যিকভাবে লাভ হবে না। অনেক প্রোডিউসার আছেন যারা নামের জন্য সিনেমা বানাচ্ছেন অনেকে আছেন ব্যবসা করার জন্য বানাচ্ছেন। আলোচনায় আসা এক বিষয় আর বিজনেস করা আরেক বিষয়। যতই আলোচিত সিনেমা হোক যদি ব্যবসা না করে তাতে তো যারা ব্যবসা করতে চান তারা তো এখানে অর্থ লগ্নি করবেন না। আমরা যখন সিনেমা করেছি তখন প্রোডিউসার আমাদের দিয়ে ব্যবসা করেছেন।
আপনার সিনেমার ব্যস্ততা কমে যাওয়ার কারণ কি?
এখন যেসব সিনেমা হচ্ছে বেশির ভাগই কম বাজেটের। সেখানে আমাদের পোষাবে না। চাইলে আমি এরকম সিনেমা মাসে ৩০টা করতে পারি। যারা নাটক বা অডিও করতে পারছেন না তারাই এসব সিনেমা বানাচ্ছেন। আমরা যে স্টান্ডার্ডের সিনেমায় কাজ করেছি- তারা তো এরকম সাব স্টান্ডার্ডের সিনেমায় কাজ করতে পারি না।