দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে রোববার। এখন পরাজিত প্রার্থীরা তাদের হারের কারণ নিয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে তার ময়নাতদন্ত করতে বসেছেন। এর মধ্যে অন্যতম দেশের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। যিনি এই নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে সেদিন দুপুরের মধ্যভাগেই তিনি নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি যে দল থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন, সে দলের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী, যিনি নির্বাচন বর্জন করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনিয়ম ও অন্যায়ের কারণে ভোট বর্জন করেছি। কারচুপি হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম, এবার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, যেহেতু আমাদের সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তাই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
প্রসঙ্গত, পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। তার দিকে অভিযোগের আঙুল তাক করে ডলি বলেন, যেভাবে কারচুপি হয়েছে, যেভাবে চেয়ারম্যানদের সামনে রেখে ফিরোজ কেন্দ্রে ছেলেপুলে ঢুকিয়ে একচেটিয়া ভোট নিয়েছেন, এখানে তো সুষ্ঠু নির্বাচন আশাই করা যায় না। সে কারণে আমি ভোট বর্জন করেছি। এদিকে রোববার কারচুপির অভিযোগ এনে দিনের শুরুতেই ভোট বর্জনের আভাস দিয়েছিলেন এই গায়িকা।
নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি বলেছিলেন, আমি পাবনা-২ আসনে নির্বাচন করছি। কিন্তু আমি ভোটার হয়েছি ঢাকা থেকে। এ কারণে আমি ভোট দিতে পারছি না। ভোট না দিতে পারলেও কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিজের ভক্তদের পাশে থাকার জন্য ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থাকব। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের পক্ষে নব্বই ভাগ আশাবাদী আমি। পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসনে নির্বাচন করেছেন এই গায়িকা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নোঙর প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।