লাস্য ও সৌন্দর্যে আসমুদ্র হিমাচলকে মাতোয়ারা করা ক্যাটরিনা কাইফ সম্প্রতি ৪০ এ পদার্পণ করলেন। নিষ্পাপ পেলব সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি তিনি। তার সারল্য মাখা হাসিতে মুগ্ধ হন ভক্তরাও। আর বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরেই বলিউডে নিজের জমি পাকা করে নিয়েছেন। সে রকমই একজন লড়াকুমনা অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ।
২০০৩ সালে বুম দিয় তার ফিল্ম ক্যরিয়ার শুরু এবং সেই শুরু পর আজ তিনি বলিউডের সুপারস্টার? বলিউডের বাণিজ্যিক সিনেমার সফল নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। ক্যাটরিনা বলেন, 'একজন পারফর্মার হিসেবে এ রকম কাজ আমার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমি বলব, ভয়টা অনুভব কর, এটা ভালো। সেই অনুযায়ী প্রাণপণে চেষ্টা কর; আমিও তাই করছি।'
এতদিন গল্পপ্রধান ছবিতে তাকে পাওয়া যায়নি। এবার 'মেরি ক্রিসমাস' সিনেমায় সেই ছক ভাঙা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন নায়িকা। এটি নির্মাণ করেছেন শ্রীরাম রাঘবন।
ক্যাটরিনা কাইফ বলেন, বাণিজ্যিক ও বিনোদনমূলক ছবিতে একটা স্বাচ্ছন্দ্য তৈরি হয়েছে। তো সেটা থেকে বের হয়ে অন্য ধাঁচের কাজ করতে গেলে একটু নার্ভাস, ভয় লাগতেই পারে। তবে এই ভয়টা কেটেছে, কারণ কাজটির অভিজ্ঞতা অসাধারণ। 'মেরি ক্রিসমাস' সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় সেতুপতি।
তাকে নিয়ে ক্যাটরিনার মন্তব্য- 'শ্রীরাম স্যার ও বিজয়ের সঙ্গে কাজ করতে আমি খুব উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আমরা যখন প্রথমবার একটি রুমে গল্পটি নিয়ে বসেছিলাম, এক মুহূর্তেই গল্পের সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছিলাম। আর যে মুহূর্তে বিজয় একটি দৃশ্য নিয়ে কথা বলছিলেন, সেটা আমার জন্য অভাবনীয় ছিল। আমি শুধু ভাবছিলাম- গল্প, চরিত্র, মানুষ এসব নিয়ে একটা মানুষ এত ব্যতিক্রম উপায়ে ভাবেন!'
থ্রিলারধর্মী গল্পে নির্মিত হয়েছে 'মেরি ক্রিসমাস'। এতে বিজয় ও ক্যাটরিনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন অশ্বিনী কালসেকর ও রাধিকা আপ্তে। আগামী ১২ জানুয়ারি হিন্দি ও তামিল ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
অনেকেই হয়তো জানেন না, ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন ক্যাটরিনা। মুক্তির পরে অবশ্য সেই ছবিগুলোই বস্নকবাস্টার হয়েছিল। সেই সব ছবির তালিকা কিন্তু লম্বা। যেমন, 'ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি'। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ছবির নায়িকা নয়নার চরিত্রের জন্য প্রথম প্রস্তাব গিয়েছিল ক্যাটরিনার কাছে। অবশ্য নয়না চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। আর ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটিও বস্নকবাস্টার হয়েছে।
এ ছাড়া আরও কিছু ছবি আছে যেগুলো বস্নকবাস্টার হয়েছে। বরফি সিনেমায় শ্রম্নতি ঘোষের চরিত্রে ক্যাটরিনাকে চেয়েছিলেন পরিচালক অনুরাগ বসু। কিন্তু এই চরিত্রটি করতে রাজি হননি ক্যাটরিনা। পরে শ্রম্নতি ঘোষের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ইলিয়ানা ডিক্রুজকে। এ ছাড়া 'বাজিরাও মস্তানি' যে ছবিটির মস্তানি চরিত্রটি বহু অভিনেত্রীর কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো। দীপিকা পাড়ুকোন এই চরিত্রটিকে পর্দায় দুর্দান্তভাবে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। যে চরিত্রটির প্রস্তাব দীপিকার আগেই ক্যাটরিনার কাছে গিয়েছিল। কিন্তু ক্যাটরিনা রাজি হননি। আবার 'গুন্ডে' রণবীর সিং এবং অর্জুন কাপুর অভিনীত অ্যাকশনে ভরপুর 'গুন্ডে' ছবিতে নায়িকার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। কিন্তু এই ছবির প্রস্তাব গিয়েছিল ক্যাটরিনার কাছে। সময় সংক্রান্ত সমস্যার জেরে 'গুন্ডে' ছবি করতে অস্বীকার করেছিলেন ভিকি-ঘরণী।
এভাবেই একে একে 'চেন্নাই এক্সপ্রেস', বস্নকবাস্টার সিনেমা 'গোলিয়ওঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা', 'হাফ গার্লফ্রেন্ড' প্রভৃতি বস্নকবাস্টার ছবির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন ক্যাটরিনা।