চিত্রনায়িকা কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত 'হাজার বছর ধরে' ছিল চিত্রনায়িকা শাহনূর অভিনীত প্রথম সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। পরবর্তীতে শাহনূর অভিনয় করেন ফারুক হোসেন পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পের সরকারি অনুদানে নির্মিত 'কাকতাড়ুয়া' চলচ্চিত্রে। চলতি বছরেই শাহনূর আরও একটি সরকারি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেন। নাম 'আশীর্বাদ'। এটি নির্মাণ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। পরপর সরকারি অনুদানের দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে উচ্ছ্বসিত শাহনূর। তিনি জানান, 'কাকতাড়ুয়া' ও 'আশীর্বাদ' দুটি চলচ্চিত্রের কাজই তিনি পুরোপুরি শেষ করেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চলচ্চিত্র দুটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। শাহনূর বলেন, 'কাকতাড়ুয়া' এবং 'আশীর্বাদ' দুটোই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পের সিনেমা। দুটিই সরকারি অনুদানে নির্মিত। দুটিতে আমার দুই ধরনের চরিত্র। তবে কাকতাড়ুয়ার চরিত্রটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। অভিনয় করার সময় আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি মুক্তির অপেক্ষায় আছি আমি নিজেও। আর 'আশীর্বাদ'-এ আমি একজন ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পটা ভালো লেগেছে। শাহনূর এরই মধ্যে শেষ করেছেন রফিক শিকদারের 'বসন্ত বিকেল' চলচ্চিত্রের কাজ। মুক্তির অপেক্ষায় আছে জাহিদ হোসেনের 'জীবন যন্ত্রণা'। শাহনূর অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ 'ওয়েলিং'। এটি নির্মাণ করেছিলেন জাহিদ, রচনা ছিল অনুরূপ আইচের। এদিকে লকডাউনের কারণে শাহনূর তার নতুন চলচ্চিত্র সোলায়মান আলী পরিচালিত 'প্রেম প্রীতি বন্ধন'র কাজ শুরু করতে পারছেন না। লকডাউনের আগে তিনি এই চলচ্চিত্রের কাজ করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে আরও একবার শুটিংয়ের জন্য তারিখ নির্দিষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত তা আবারও পিছিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে মুজিববর্ষের বিশেষ ওভিসি (অনলাইন বিজ্ঞাপন) 'মুজিব তোমায় কথা দিলাম'তে অভিনয় করেছেন শাহনূর। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তির থিম নিয়ে ওভিসি'টির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন গুণী নির্মাতা গাজী ফারুক। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আওয়ামী রাজনীতিতে বিশ্বাসী শাহনূর এখন রাজনীতিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। দেশের বিশেষ বিশেষ দিবসে তা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। শাহনূর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের (কেন্দ্রীয় কমিটি) চলচ্চিত্রবিষয়ক সম্পাদক।