সম্পর্কটা তরতাজাই আছে...
সাংসারিক জীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনও ভালো যাচ্ছে। এক কথায় 'ফুরফুরে'! আমি আর শাওন, দুজনে মিলেই বেশিরভাগ সিদ্ধান্তগুলো নেই। ফলে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়নি। আমাদের সম্পর্কটা এখনো তরতাজাই আছে।
সেভাবে সাড়া পেলাম না...
সম্প্রতি একটা মজার কাজ করেছি। নাটকটির নাম 'পালিয়ে বিয়ে'। এতে আমার বিপরীতে শাওন কাজ করেছে। গল্পে দেখা যায়, শাওন আর আমি এক পর্যায় গিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে পালাতে গিয়ে আবার ফেরত চলে আসি। সমসাময়িক একটি গল্প এতে তুলে ধরা হয়েছে। সঙ্গে কিছু মজার মজার সংলাপও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া 'ইনফিনিটি' নামের একটি ওয়েব সিরিজও শেষ করেছি। আমার বিপরীতে এতে আছেন শরিফুল রাজ। সিরিজটি অনলাইন পস্ন্যাটফর্ম 'বিঞ্জ'-এ দেখা যাচ্ছে এখন। এই সিরিজটি নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। এর গল্পটিও দারুণ। নির্মাণশৈলীটাও ছিল দুর্দান্ত। স্পেশাল এজেন্টদের একটি মিশনের গল্প নিয়ে সিরিজটি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু আফসোস, সেভাবে সাড়া পেলাম না। কিন্তু আমি যদি এখানে কোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কিংবা ছোট জামা-কাপড় পরে অভিনয় করতাম, তখন দর্শক এটি নিয়ে খুব কথা বলত। মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে, দর্শক কেন জানি ভালো কাজের মর্ম বুঝে না।
ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন...
বিয়ের পর শাওনের সঙ্গে বেশকিছু কাজ করা হয়েছে। আগেও টুকটাক করেছি। তবে আমরা আট-দশটা জুটির মতো নিয়মিত হতে চাই না। মাঝে মাধ্যে কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে দর্শক আমাদের জুটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। তবে প্রস্তাব আসলেই যে দুজনে কাজ করছি বিষয়টি তেমন নয়। গল্পটা দুজনের পছন্দ হলেই কাজ করি।
কাজ তো করতেই হবে...
এখন নিয়মিত কাজগুলোই করছি। বিশেষ করে খন্ডনাটকের কাজ প্রায় প্রতিদিনই থাকে। সেগুলোই করছি। একটা সিরিয়ালে অভিনয় করছি। বিশেষ দিনের কাজগুলো এখনো শুরু হয়নি। হয়তো আগামী মাস থেকে ভালোবাসা দিবসের নাটকের কাজ শুরু হবে। ওটা নিয়ে আপাতত প্রাথমিক কথাবার্তা চলছে। এইতো। তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনো কমেনি। শুনছি সামনে আবারও সাধারণ ছুটি আসতে পারে। তাই ভেবেচিন্তেই সবকিছু করতে হচ্ছে। জানি আজ হোক, কাল হোক আমিও আক্রান্ত হব, কিন্তু তারপরও কাজ তো করতেই হবে। আর কতদিন বসে থাকব? তাই করোনা ভীতিকে পাশে রেখেই কাজ করছি।