অধ্যায় ৪
প্রশ্ন-৭ : বাংলাদেশের প্রধান ফসল কোনটি? উক্ত ফসলটি কেন প্রধান হিসেবে বিবেচিত? ফসলটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান।
আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত হওয়ায় ধান প্রধান ফসল হিসেবে বিবেচিত।
ধান সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো
১. বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের জলবায়ু ধান চাষের উপযোগী।
২. ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য
৩. বাংলাদেশ আউশ, আমন ও বোরো এই তিন ধরনের ধান চাষ হয়।
প্রশ্ন-৮ : আমাদের দেশের উর্বর দোআঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী? উক্ত ফসলটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমাদের দেশের উর্বর দোআঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। আলু সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. আলু একটি প্রয়োজনীর খাদ্য।
২. আমাদের দেশের গোল আলু ও মিষ্টি আলুর চাষ বেশি হয়।
৩. দেশে উৎপাদিত আলু দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে।
৪. দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্ধৃত আলু দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়।
প্রশ্ন-৯ : কুটিরশিল্প কাকে বলে? চারটি কুটিরশিল্পের নাম লেখ।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে।
চারটি কুটির শিল্পের নাম হলো- ১. তাঁত শিল্প, ২. কাঠ শিল্প, ৩. বাঁশ-বেত শিল্প, ৪. কাঁসা শিল্প।
প্রশ্ন-১০ : কুটির শিল্প কাকে বলে? বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর: যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে।
\হবৃহৎ শিল্প বড় বড় কারখানায় অবস্থিত। অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্প ছোট ছোট কারখানায় অবস্থিত।
বৃহৎ শিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ কুটির শিল্প অপেক্ষা বেশি।
বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পের মধ্যে পাট শিল্প, সার শিল্প, সিমেট শিল্প, কাগজ শিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে সাবান শিল্প, হোসিয়ারি শিল্প, রেশম শিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।
প্রশ্ন-১১ : কুটির শিল্প কী? বাংলাদেশে কুটির শিল্পের প্রয়োজন কেন? তিনটি কুটির শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটির শিল্প বলে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ বেকারত্ব নিরসণের জন্য বাংলাদেশে কুটির শিল্পের প্রয়োজন।
কাঠ শিল্প, ২. মৃৎ শিল্প, ৩. কাঁসা শিল্প।
প্রশ্ন-১২ : পাট কী ? পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয় কেন? পাটের তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : পাট এক প্রকার সোনালি আঁশ।
পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ জন্য বাংলাদেশে পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়। পাটের তিনটি ব্যবহার-
১. পাট দিয়ে তৈরিকৃত রশি পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য জিনিসপত্র বেঁধে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
২. পাটের তৈরি কার্পেট বাড়িতে, মসজিদ ও অফিস-আদালতে ব্যবহার করা হয়।
৩. পাট দিয়ে তৈরিকৃত বস্তা পণ্যসামগ্রী বহন করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-১৩. ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় কোন শিল্পের অধিকাংশ কারখানা রয়েছে? শিল্পটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় বস্ত্র শিল্পের অধিকাংশ কারখানা রয়েছে। বস্ত্র শিল্পসম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
এ দেশের তাঁত শিল্পে উন্নতমানের সুতি, সিল্ক ও জামদানি শাড়ি তৈরি হচ্ছে।
এক সময় এ দেশের তৈরি মসলিন কাপড় জগদ্বিখ্যাত ছিল।
দেশের বস্ত্র শিল্পগুলো দেশের বস্ত্রের চাহিদা মেটাতে পারে না।
প্রতিবছর আমাদের বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়।
প্রশ্ন-১৪ : বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের গুরুত্ব সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য-
\হবর্তমানে পোশাকশিল্প বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে।
এসব কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের বেশির ভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে কয়েক লাখ নারী ও পুরুষ কাজ করে।
পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
প্রশ্ন-১৫ : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের অথর্নীতিতে শিল্পের অবদান সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য:
২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান প্রায় ৩০%।
শিল্প দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে।
শিল্পকারখানায় অনেক শিল্পসামগ্রী তৈরি হয়।
এসব শিল্পসামগ্রী রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
শিল্পকারখানায় অনেক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়।