বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

আরিফ আনজুম, সহকারী শিক্ষক, আমতলী মডেল স্কুল, বগুড়া।
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

পদার্থ ও শক্তি

প্রশ্ন:শক্তির ৫টি রূপের নাম লেখ।

উত্তর:শক্তির ৫টি রূপের নাম হলো :

র. বিদু্যৎ শক্তি, রর. যান্ত্রিক শক্তি, ররর. আলোক শক্তি, রা. রাসায়নিক া. শক্তি তাপ শক্তি।

প্রশ্ন:তাপ সঞ্চালনের তিনটি প্রক্রিয়া কী কী?

উত্তর:তাপ সঞ্চালনের তিনটি প্রক্রিয়া হলো : র. পরিবহন, রর. পরিচলন ও ররর. বিকিরণ।

প্রশ্ন:কীভাবে আলো সঞ্চালিত হয়?

উত্তর:আলো বিকিরণ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়।

প্রশ্ন:পরমাণু কী?

উত্তর:পদার্থের অবিভাজ্য সূক্ষ্ণ কণাই পরমাণু।

প্রশ্ন:গিটার কোন ধরনের শক্তি উৎপন্ন করে?

উত্তর:গিটার শব্দ শক্তি উৎপন্ন করে।

প্রশ্ন:শক্তি কী?

উত্তর:কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।

প্রশ্ন:তাপ সঞ্চালনের পদ্ধতিগুলো কী কী?

উত্তর:তাপ সঞ্চালন পদ্ধতি ৩টি। যথা :

র. পরিবহন, রর. পরিচলন ও ররর. বিকিরণ।

প্রশ্ন:পদার্থ কী দিয়ে গঠিত?

উত্তর:পদার্থ পরমাণু দিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন:পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর:যার ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে তাকে পদার্থ বলে। যেমন : কাঠ, পানি ইত্যাদি।

প্রশ্ন:দুই রকমের শক্তির নাম লিখ।

উত্তর:দুই রকমের শক্তির নাম হলো : র. বিদু্যৎ শক্তি, রর. শব্দ শক্তি।

প্রশ্ন:পদার্থের দশা পরিবর্তনের কারণ কী?

উত্তর:পদার্থের দশা পরিবর্তনের কারণ পরমাণুর বন্ধন। এজন্য আয়তন নির্দিষ্ট থাকলেও এর আকার বদলে যায়।

প্রশ্ন:আলো কোন পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়?

উত্তর:আলো বিকিরণ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়।

প্রশ্ন:পদার্থে কয়টি অবস্থা আছে?

উত্তর:পদার্থে তিনটি অবস্থা আছে।

প্রশ্ন:উইন্ডমিল কী?

উত্তর:উইন্ডমিল হলো এক ধরনের যন্ত্র যা দ্বারা বাতাসের প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করা হয়।

প্রশ্ন:পদার্থের দশা পরিবর্তনের দুইটি নিয়ামকের নাম লেখ।

উত্তর:পদার্থের দশা পরিবর্তনের দুটি নিয়ামক হলো- র. তাপ ও রর. চাপ।

প্রশ্ন:পদার্থের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হওয়ার কারণ কী?

উত্তর:পদার্থের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হওয়ার কারণ হলো বিভিন্ন পদার্থ বিভিন্ন পরমাণু দিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন:পরমাণু কাকে বলে?

উত্তর:পদার্থ যেসব ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত তাদেরকে পরমাণু বলা হয়।

প্রশ্ন:শক্তির প্রধান উৎসের নাম লেখ।

উত্তর:শক্তির প্রধান উৎস হলো সূর্য।

প্রশ্ন:গতি শক্তি কাকে বলে?

উত্তর:কোনো গতিশীল বস্তু গতিশীল থাকার জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য বা শক্তি অর্জন করে তকে গতি শক্তি বলে।

প্রশ্ন:তাপের উৎস কী কী?

উত্তর:তাপের মূল উৎস সূর্য। এছাড়া তাপের অন্যান্য উৎস হলো: কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কাঠ।

প্রশ্ন:সৌর বিদু্যৎ কী?

উত্তর:সূর্যের আলো থেকে যে বিদু্যৎ উৎপাদন করা হয় তাই সৌর বিদু্যৎ।

প্রশ্ন:পরিবহন কী?

উত্তর:যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো কঠিন বস্তুর ভেতর দিয়ে সঞ্চালিত হয় তাকে পরিবহন।

প্রশ্ন:পরিচলন কী?

উত্তর:তরল ও বায়বীয় পদার্থের ভেতর দিয়ে তাপের উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নিম্ন তাপমাত্রায় যাওয়ার প্রক্রিয়াই পরিচলন।

প্রশ্ন:বিকিরণ কী?

উত্তর:তাপ ও আলোক তরঙ্গ শূন্য মাধ্যমে সঞ্চালিত হওয়ার প্রক্রিয়াই বিকিরণ।

প্রশ্ন:তাপ সঞ্চালন কী?

উত্তর:উচ্চ তাপমাত্রার অঞ্চল থেকে নিম্ন তাপমাত্রার অঞ্চলে তাপ প্রবাহিত হওয়ার ঘটনাই হলো তাপ সঞ্চালন।

প্রশ্ন:তাপ সঞ্চালনের কয়টি পদ্ধতি রয়েছে?

উত্তর:তাপ সঞ্চালনের তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।

প্রশ্ন:সূর্য থেকে পৃথিবীতে কোন প্রক্রিয়ায় তাপ আসে?

উত্তর:বিকিরণ প্রক্রিয়ায়।

প্রশ্ন:পদার্থের তিন দশায় রূপান্তরের কারণ কী?

উত্তর:তাপের প্রভাব।

প্রশ্ন:পাঁচ রকম শক্তির নাম লেখ।

উত্তর:পাঁচ রকম শক্তির নাম হচ্ছে-১. তাপ শক্তি, ২. আলোক শক্তি, ৩. বিদু্যৎ শক্তি, ৪. শব্দ শক্তি ও ৫. রাসায়নিক শক্তি।

বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন:যখন টিভি চালানো হয় তখন শক্তির কী কী পরিবর্তন হয়?

উত্তর:টিভি চালাতে বিদু্যৎ শক্তির প্রয়োজন হয়। টিভি চালানোর সময় বিদু্যৎ শক্তি বিভিন্ন রূপে পরিবর্তিত হয়। টিভি চালালে এর পর্দা আলোকিত হয়। এতে বিদু্যৎ শক্তি আলোক শক্তি রূপান্তরিত হয়। টিভি চলাকালীন আমরা শব্দও শুনতে পাই। এতে বিদু্যৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এ সময় টিভি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। এতে বিদু্যৎ শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তর হয়। অতএব যখন টিভি চালানো হয় তখন বিদু্যৎ শক্তি আলোক, তাপ ও শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন:ঠান্ডা পানির গস্নাস হাত দিয়ে ধরে রাখলে হাত ঠান্ডা হয়ে যায়। তোমার বন্ধু মনে করে গস্নাসের ঠান্ডা হাতে চলে যাওয়ার কারণে হাত ঠান্ডা হয়ে যায়। তার ধারণাটি কী সঠিক? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:না আমার বন্ধুর ধারণা সঠিক নয়। অর্থাৎ গস্নাসের ঠান্ডা হাতে চলে আসে না।

ব্যাখ্যা : তাপ সর্বদা উচ্চ তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে সঞ্চারিত হয়। ঠান্ডা পানির গস্নাস হাত দিয়ে ধরে রাখলে হাত ঠান্ডা হয়ে যায়। এমনটা ঘটার কারণ গস্নাসের ঠান্ডা হাতে চলে যাওয়া নয়। বরং হাতের তাপ গস্নাসে সঞ্চালিত হওয়ার ফলেই এ ঘটনাটি ঘটে। এখানে ঠান্ডা পানির গস্নাস নিম্ন তাপমাত্রায় রয়েছে, আর হাত উচ্চ তাপমাত্রায়। তাই হাতের তাপ গস্নাসে সঞ্চালিত হওয়ায় হাতের তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে যায়। সুতরাং আমার বন্ধুর ধারণাটি সঠিক নয়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে