প্রশ্ন:বায়ুপ্রবাহকে আমরা কী কী কাজে ব্যবহার করতে পারি? অথবা, দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে বায়ু ব্যবহার করি। বায়ুর এরূপ পাঁচটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: বায়ুপ্রবাহকে আমরা কাজে ব্যবহার করতে পারি।
১. বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করে বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করা যায়।
২. বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করা যায়।
৩. একে ব্যবহার করে পালতোলা নৌকা চালানো যায়।
৪. ভেজা কাপড় রোদে ও খোলা জায়গায় শুকাতে বায়ুপ্রবাহ কাজে লাগে।
৫. চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়ে চুল শুকাতে বায়ুপ্রবাহ কাজে লাগে।
প্রশ্ন:বায়ুর উপাদানগুলো আমাদের বেঁচে থাকতে কীভাবে সাহায্য করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বায়ু। বায়ুতে প্রধানত নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প থাকে। শ্বাস নেয়ার মাধ্যমে আমরা বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি। অক্সিজেন আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য ভেঙে শক্তি উৎপাদন করে। অক্সিজেনের সাহায্যে আগুন জ্বালাই। জ্বালানি পুড়িয়ে কলকারখানা চালাই, গাড়ি চালাই, বিদু্যৎ উৎপাদন করি। শ্বাসকষ্টের রোগী, পর্বত আরোহী ও ডুবুরিরা সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন নিয়ে শ্বাসকার্য চালায়। নাইট্রোজেন ইউরিয়া সার প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়। আবার টিন বা প্যাকেটে নানা ধরনের খাবার যেমন : মাছ, মাংস, ফল, চিপস সংরক্ষণে নাইট্রোজেন এবং বিভিন্ন ধরনের পানীয় তৈরিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া আগুন নেভাতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়। সবুজ উদ্ভিদ কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাধ্যমে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে বেঁচে থাকে।
প্রশ্ন:বায়ু দূষণের পাঁচটি ক্ষতিকর দিক উলেস্নখ কর।
উত্তর: বায়ু দূষণের পাঁচটি ক্ষতিকর দিক নিচে উলেস্নখ করা হলো:
১. বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে গেলে বায়ুম-লের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে।
২. দূষিত বায়ু সেবনে ব্রঙ্কাইটিস, ক্যান্সার, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে।
৩. কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়ায় নির্গত গ্যাস বায়ুম-লে এসিড বৃষ্টি ঘটায়, যা দালানকোঠা, উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতি করে।
৪. মোটরগাড়ি ও কলকারখানা থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস শরীরে রক্তের সঙ্গে মিশে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
৫. সিসাযুক্ত দূষিত বায়ু সেবনে ক্ষুধা কমে যায় ও রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এ বায়ু শিশু এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
প্রশ্ন:কার্বন ডাইঅক্সাইড-এর ৫টি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইডের ব্যবহার উলেস্নখ করা হলো:
১. কার্বন ডাইঅক্সাইড আগুন নেভাতে ব্যবহৃত হয়।
২. কার্বন ডাইঅক্সাইড কোমল পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৩. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়।
৪. কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস পরীক্ষাগারে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন:নাইট্রোজেন-এর ৫টি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: নাইট্রোজেনের পাঁচটি ব্যবহার নিচে উলেস্নখ করা হলো:
১. ইউরিয়া সার প্রস্তুত করতে নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।
২. মাছ, মাংস, ফল ইত্যাদি পচনশীল খাদ্য যাতে না পচে, সেজন্য টিনের কৌটায় নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।
৩. উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। নাইট্রোজেন উদ্ভিদকে দ্রম্নত বাড়তে সাহায্য করে।
৪. চিপসের প্যাকেটে নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।
৫. বৈদু্যতিক বাল্বে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
পদার্থ ও শক্তি
সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১. কাজ করার সামর্থ্যকে কী বলে?
ক.শব্দ খ. শক্তি গ. গতি ঘ. তাপ
উত্তর: শক্তি
২. পানিকে তাপ দিলে কী হয়?
ক বাষ্প খ. বরফ গ. ঠান্ডা ঘ. উত্তপ্ত
উত্তর: বাষ্প
৩. একটি স্প্রিংকে টেনে লম্বা করতে হলে কী প্রয়োগ করতে হবে?
ক. তাপ খ. বল গ. আলো ঘ. শব্দ
উত্তর:বল
৪. আধুনিক সভ্যতার প্রয়োজনীয় শক্তি কোনটি?
ক. কম্পিউটার খ. তাপ গ. বিদু্যৎ ঘ. সূর্য
উত্তর:বিদু্যৎ
৫. পদার্থ কী দ্বারা তৈরি?
ক. ধাতু খ. অধাতু গ.অণু ঘ. ক্ষুদ্র বস্তু
উত্তর: ক্ষুদ্র বস্তু
৬. বিজ্ঞানী ডালটন কত সালে পরমাণু তত্ত্বটি যথাযথভাবে উপস্থাপন করেন?
ক. ১৭০৮ সালে খ. ১৭১০ সালে
গ. ১৮০৮সালে ঘ. ১৮১৮ সালে
উত্তর:১৮০৮সালে
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়