বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
সিসিটিভি ক্যামেরা একটি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা নজরদারি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে চিত্র বা রেকর্ডিং উৎপাদন করতে পারে। ক্যামেরা ভিডিও ক্যামেরা বা ডিজিটাল স্টিল ক্যামেরা হতে পারে। ওয়াল্টার ব্রম্নচ ছিলেন সিসিটিভি ক্যামেরার আবিষ্কারক। সিসিটিভি ক্যামেরার মূল উদ্দেশ্য হলো আলো ক্যাপচার এবং এটিকে একটি ভিডিও সিগন্যালে রূপান্তর করা। সিসিটিভি ক্যামেরা আন্ডারপাইন করা হলো একটি সিসিডি সেন্সর (চার্জ-কাপলড ডিভাইস)। সিসিডি আলোকে বৈদু্যতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে এবং তারপরে সংকেত প্রক্রিয়াকরণ এ বৈদু্যতিক সংকেতটিকে একটি ভিডিও সংকেতে রূপান্তর করে যা স্ক্রিনে রেকর্ড বা প্রদর্শিত হতে পারে। ভিডিও ক্যামেরা : ভিডিও ক্যামেরা হয় অ্যানালগ বা ডিজিটাল, যার অর্থ তারা স্টোরেজ ডিভাইসে যেমন কোনো ভিডিও টেপ রেকর্ডার বা ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অ্যানালগ বা ডিজিটাল সংকেত প্রেরণের ভিত্তিতে কাজ করে। অ্যানালগ : এ ক্যামেরাগুলো সরাসরি কোনো ভিডিও টেপ রেকর্ডারে রেকর্ড করতে পারে যা চিত্র হিসাবে অ্যানালগ সংকেত রেকর্ড করতে সক্ষম। যদি অ্যানালগ সংকেতগুলো টেপটিতে রেকর্ড করা হয়, তবে ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করতে টেপটি খুব ধীরগতিতে চলতে হবে। ডিজিটাল রেকর্ডিং হিসাবে পিসিতে রেকর্ডিংগুলো সংরক্ষণ করার জন্য অ্যানালগ সংকেতগুলোও একটি ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করা যায়। সেক্ষেত্রে অ্যানালগ ভিডিও ক্যামেরাটি কম্পিউটারে সরাসরি একটি ভিডিও ক্যাপচার কার্ডে পস্নাগ করতে হবে এবং কার্ডটি তখন অ্যানালগ সিগন্যালটিকে ডিজিটাল রূপান্তর করে। এ কার্ডগুলো তুলনামূলক কম সস্তা, তবে অনিবার্যভাবে ফলাফল রেকর্ডিং সংকেতগুলো ধারাবাহিকভাবে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য সংরক্ষণের জন্য হয়। অ্যানালগ মিডিয়ায় রেকর্ডিং সঞ্চয় করার আরেকটি উপায় হলো ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ডিভিআর) ব্যবহার। এ জাতীয় ডিভাইস একটি ক্যাপচার কার্ড এবং উপযুক্ত ভিডিও রেকর্ডিং সফ্‌টওয়্যারসহ পিসির মতো কার্যকারিতার সাথে সমান। পিসিগুলোর বিপরীতে, সিসিটিভির উদ্দেশ্যে নকশাকৃত বেশির ভাগ ডিভিআর হলো এম্বেড করা ডিভাইসগুলোর জন্য যা একটি পিসিভিত্তিক সমাধানের চেয়ে কম রক্ষণাবেক্ষণ এবং সহজ সেটআপের প্রয়োজন, একটি মাঝারি থেকে বৃহৎ সংখ্যক অ্যানালগ ক্যামেরা। কিছু ডিভিআর ভিডিও সিগন্যালের ডিজিটাল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়, যাতে নেটওয়ার্ক ক্যামেরার মতো কাজ করে। যদি কোনো ডিভাইস ভিডিও সম্প্রচারের অনুমতি দেয় তবে তা রেকর্ড না করে, তবে এটি একটি ভিডিও সার্ভার বলে। এ ডিভাইসগুলো কার্যকরভাবে কোনো অ্যানালগ ক্যামেরা ভিডিও সংকেত একটি নেটওয়ার্ক টিভিতে রূপান্তরিত করে। ডিজিটাল : এ ক্যামেরাগুলোর জন্য ভিডিও ক্যাপচার কার্ডের প্রয়োজন হয় না। কারণ এগুলো ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহার করে কাজ করে যা সরাসরি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ডিংগুলো সংরক্ষণ করতে প্রচুর পরিমাণে হার্ড ড্রাইভের স্থান গ্রহণ করা হয় এবং কয়েক ঘণ্টা অবসরিত ভিডিও দ্রম্নত একটি হার্ড ড্রাইভ পূরণ করতে পারে। সংকোচিত রেকর্ডিংগুলো দেখতে দুর্দান্ত লাগতে পারে তবে একটানা নিয়মিত সংকোচিত মানের রেকর্ডিং চালানো যায় না। প্রকারভেদ : বর্তমানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ধরনের সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়। যেমন- সাধারণ সিসি ক্যামেরা, ডোম ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, মিনি ক্যামেরা, স্পিড ডোম পজিটিড ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, ডে-নাইট ক্যামেরা, জুম ক্যামেরা, ভেন্ডাল প্রম্নফ ক্যামেরা, অ্যাওে সিসি ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা, পেন ক্যামেরা, বোতাম ক্যামেরা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়াইফাই ক্যামেরা। তবে চার ধরনের ক্যামেরার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো- ডোম সিসি ক্যামেরা- এটি সাধারণত ঘরের সিলিংয়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি এক জায়গা থেকে তার পিক্সেল অনুযায়ী ভিডিও ক্যাপচার কওে থাকে। এটির সঙ্গে অটো এলএডি লাইট থাকায় অন্ধকারে ভিডিও করতে পারে। ব্রম্নলেট সিসি ক্যামেরা- এটি সাধারণত বাড়ির বাইরে লাগানো হয়। ঝড়, বৃষ্টিতে কোনো সমস্যা হয় না। রাস্তা, ছাদে, দেওয়ালে বা পিলারে এ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। অ্যারে সিসি ক্যামেরা- দূরের ভিডিও ক্যাপচার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, টাওয়ারে, ছাদে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট দূরত্বে ভিডিও করা হয়। ওয়াইফাই সিসি ক্যামেরা- এটি প্রোটেবল ক্যামেরা। খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার লাইভ ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে এ ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কারণে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়। এ ক্যামেরার সাহায্য যে কোনো দুর্ঘটনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিরূপণ করা সহজ হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে আমরা খুব সহজেই আমাদের ঘরে বা প্রতিষ্ঠানে কী ঘটছে তা জানতে পারি।