বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

আরিফ আনজুম, সহকারী শিক্ষক, আমতলী মডেল স্কুল, বগুড়া।
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন :আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন যাবৎ পান করলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?

উত্তর : আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাতে-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বা ঘা তৈরি হয়।

প্রশ্ন :দুটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখ।

উত্তর : দুটি পানিবাহিত রোগ হলো- ১. কলেরা ও ২. টাইফয়েড।

প্রশ্ন :প্রাকৃতিক কারণে পানি দূষণকে কী বলে?

উত্তর : প্রাকৃতিক কারণে পানি দূষণকে আর্সেনিক দূষণ বলে।

প্রশ্ন :পানি দূষণের ৩টি কারণ লেখ।

উত্তর : পানি দূষণের ৩টি কারণ হলো : ১. কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, ২. কলকারখানার রাসায়নিক দ্রব্য, ৩. গৃহস্থালি বর্জ্য।

প্রশ্ন :ছাঁকন কী?

উত্তর : ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হলো ছাঁকন।

প্রশ্ন :ঘনীভবন কী?

উত্তর : বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে।

প্রশ্ন :বাষ্পীভবন কী?

উত্তর : তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পীভবন।

প্রশ্ন :নিরাপদ পানির জন্য কতক্ষণ পানি ফুটাতে হবে?

উত্তর : জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পানি ফুটাতে হবে।

প্রশ্ন :রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় আমরা কীভাবে পানিকে নিরাপদ করতে পারি?

উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় আমরা ফিটকিরি, বিস্নচিং পাউডার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি পরিমাণমতো মিশিয়ে পানি নিরাপদ করতে পারি।

প্রশ্ন :জীবের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য কী প্রয়োজন?

উত্তর : জীবের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পানি প্রয়োজন।

প্রশ্ন :খাদ্য পরিপাকে পানি কী হিসেবে কাজ করে?

উত্তর : খাদ্য পরিপাকে পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন :মানুষের তৈরি পানির দুটি উৎসের নাম লেখ।

উত্তর : মানুষের তৈরি পানির দুটি উৎস হলো পুকুর ও নলকূপ।

প্রশ্ন :নিরাপদ পানি কী?

উত্তর : মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই নিরাপদ পানি।

বর্ণনামূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন :বরফসহ পানির গস্নাসের বাইরের অংশ কেন ভিজে যায় তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বরফসহ পানির গস্নাসের বাইরের অংশে বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্প ঘণীভূত হয়ে জমা হয় বলে সে অংশ ভিজে যায়। ঘণীভবন বাষ্পীভবনের বিপরীত প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বাষ্পীভূত পানি তাপ হারিয়ে তরল পানিতে পরিণত হয়। বরফসহ পানির গস্নাসের বাইরের অংশ স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা হয়। বায়ু যখন ঐ ঠান্ডা গস্নাসের সংস্পর্শ আসে তখন বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প ঘণীভূত হয়ে বিন্দু বিন্দু পানিতে পরিণত হয়। ফলে গস্নাসের বাইরের অংশ ভিজে যায়।

প্রশ্ন :পানি চক্র ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমন্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তাই পানি চক্র। এই চক্রের মাধ্যমে সর্বদাই পানির অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। সাগর ও নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বাষ্পীভূত পানি উপরে উঠে ঠান্ডা ও ঘনীভূত হয়ে পানির বিন্দুতে পরিণত হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্রিত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে। এই মেঘের পানি কণা বড় হয়ে বৃষ্টিপাত হিসেবে আবার ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। শীত প্রধান দেশে তুষারও মেঘ থেকেই পৃথিবীতে পড়ে। বৃষ্টির পানি সাধারণত মাটিতে শোষিত হয় অথবা নদীতে গড়িয়ে পড়ে। মাটিতে শোষিত পানি ভূগর্ভস্থ পানি হিসেবে জমা থাকে। নদীতে গড়িয়ে পড়া পানি সমুদ্রে প্রবাহিত হয় এবং বাষ্পীভূত হয়ে আবার বায়ুতে ফিরে যায়।

প্রশ্ন :জীবের কেন পানি প্রয়োজন?

উত্তর : পানি ছাড়া জীব বাঁচতে পারে না। উদ্ভিদের দেহের প্রায় ৯০ ভাগ পানি। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতেও পানি ব্যবহার করে। মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ ও বিভিন্ন অংশে পরিবহনের জন্য উদ্ভিদের পানি প্রয়োজন।

বেঁচে থাকার জন্য প্রাণীদেরও পানি প্রয়োজন। মানবদেহের ৬০-৭০ ভাগ পানি। অধিকাংশ প্রাণী পানি পান না করে অল্প কিছু দিন বেঁচে থাকতে পারে। আমরা যখন খাদ্য গ্রহণ করি তখন সেই পানি খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। পুষ্টি উপাদান শোষণ ও দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গে পরিবহনের জন্য পানি প্রয়োজন। পানি আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে