ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
অধাতুর বৈশিষ্ট্য: -অধাতু সাধারণত উজ্জ্বল নয়। -অধাতু সাধারণত নরম ও হালকা। -অধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় না। -এর মধ্যে দিয়ে তাপ ও বিদু্যৎ চলাচল করতে পারে না। -অধাতুকে পিটিয়ে পাতলা পাতে কিংবা তারে পরিণত করা যায় না। -অধাতুসমূহ নিম্ন তাপে গলে। -এরা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কঠিন বা গ্যাসীয়। প্রশ্ন: পানির তিনটি অবস্থা ব্যাখ্যা কর। উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা হলো বরফ, পানি আর বাষ্প। পানি যখন বরফ আকারে থাকে তখন এটিকে পানির কঠিন অবস্থা বলা হয়। পানি আকারে থাকলে তখন এটিকে বলা হয় তরল অবস্থা আর বাষ্প আকারে থাকলে তখন এটিকে গ্যাসীয় অবস্থা বলে। প্রশ্ন: বিদু্যৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ কী? উত্তর : বিদু্যৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়। কারণ-তামা একটি বিদু্যৎ পরিবাহী ধাতু। ধাতুসমূহ বিদু্যৎ পরিবহন করে। তবে সব ধাতুর বিদু্যৎ পরিবহন ক্ষমতা এক নয়। ধাতুসমূহের মধ্যে তামার বিদু্যৎ পরিবাহিতা অন্যান্য ধাতুর তুলনায় বেশি। এটি দামেও সস্তা। এজন্য বিদু্যৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন: মৌলিক পদার্থ কাকে বলে? মৌলিক পদার্থের উদাহরণ দাও। উত্তর : যে পদার্থকে ভাঙলে ওই পদার্থের উপাদান ছাড়া অন্য কোনো পদার্থের উপাদান পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন- হাইড্রোজেন (ঐ), অক্সিজেন (ঙ), কার্বন (ঈ), আয়রণ (ঋব), কপার (ঈঁ) ইত্যাদি। প্রশ্ন: তরল পদার্থ যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে কেন? উত্তর : তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে; কিন্তু তরল পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই। তরল পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আকার না থাকার কারণে যখন যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। অধ্যায়-৯ বল হলো এমন এক বাহ্যিক প্রভাব যা কোনো বস্তুর বেগের মান এবং অভিমুখ উভয়ের পরিবর্তন করতে পারে। বল প্রয়োগে ত্বরণ সৃষ্টি হয়। দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একটির ওপর দিয়ে অপরটি চলতে চেষ্টা করে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এই পতির বিরুদ্ধে যে বল সৃষ্টি হয় তাই ঘর্ষণ বল। সরল যন্ত্র এমন একটি যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা বলের দিক বা পরিমাণের পরিবর্তন করে। সাধারণভাবে বলা যায়, সবচেয়ে সরল উপায়ে যান্ত্রিক সুবিধা ব্যবহার করে বলবৃদ্ধি করার ব্যবস্থাকে সরল যন্ত্র বলে। কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যই শক্তি। শক্তির কোনো ধ্বংস বা সৃষ্টি নেই। কেবলমাত্র শক্তির রূপান্তর সম্ভব। কোনো গতিশীল বস্তু তার গতির জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তাই গতিশক্তি। বস্তু তার অবস্থানের জন্য যে শক্তি অর্জন করে তাই স্থিতিশক্তি। প্রশ্ন: বস্তুর ত্বরণ সৃষ্টির কারণ কী? উত্তর: বল। প্রশ্ন: বস্তুর আকার পরিবর্তন বা বিকৃতি ঘটে কিসে? উত্তর: বল প্রয়োগে। প্রশ্ন: বস্তুকণার উপর প্রয়োগকৃত সবচেয়ে নিখুঁত বল কোনটি? উত্তর: মাধ্যাকর্ষণ বল। প্রশ্ন: পড়ন্ত বস্তুর উপর কোন বল ক্রিয়া করে? উত্তর: মাধ্যাকর্ষণ বল। প্রশ্ন: চুম্বক লোহাকে কী করে? উত্তর: আকর্ষণ করে। প্রশ্ন: চুম্বকের কোন মেরু পরস্পর পরস্পরকে বিকর্ষণ করে? উত্তর: সমমেরু। প্রশ্ন: আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ ধর্ম রয়েছে কোনটির? উত্তর: চুম্বকের। প্রশ্ন: দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একটি অপরটির ওপর চলতে শুরু করে তাহলে স্পর্শতলে এই গতির বিরুদ্ধে কোন বল কাজ করে? উত্তর: ঘর্ষণ বল। প্রশ্ন: প্রয়োজনীয় উপদ্রব কোনটি? উত্তর: ঘর্ষণ বল। প্রশ্ন: কোন পৃষ্ঠে ঘর্ষণ বল কম? উত্তর: মসৃণ পৃষ্ঠে। প্রশ্ন: তেল, মবিল, গ্রিজ জাতীয় পদার্থের কাজ কী? উত্তর: ঘর্ষণ কমানো। প্রশ্ন: চাকা, বল-বিয়ারিং ব্যবহার করে কোনটি কমানো হয়? উত্তর: ঘর্ষণ। প্রশ্ন: বাতাসের ঘর্ষণ ব্যবহার করে কি নিচে নামতে পারে? উত্তর: প্যারাসুট। প্রশ্ন: লিডার, কপিকল, ফাল ইত্যাদি কোন ধরনের যন্ত্র? উত্তর: সরল যন্ত্র। প্রশ্ন: জাতীয় পতাকা তোলার জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহৃত হয়? উত্তর: কপিকল। প্রশ্ন: আমাকে মহাকাশে দাঁড়ানোর জায়গা করে দাও, আমি পৃথিবীটাকে নাড়িয়ে দেব! কে বলেছেন? উত্তর: বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস। প্রশ্ন: গতির পরিবর্তন করে কোনটি? উত্তর: বল। প্রশ্ন: যা কোনো কাজ করতে পারে তাকে কী বলে? উত্তর: শক্তি। পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়