জীবজগৎ
প্রশ্ন : জীবজগৎ বলতে কী বুঝ?
উত্তর : আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন বস্তু, এদের মধ্যে কারো জীবন আছে আবার কারো নেই। যাদের মধ্যে জীবন নেই তারা জড়। আবার যাদের মধ্যে জীবন আছে তারা জীব। প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের জীব আছে। যেমন ু উদ্ভিদ, মানুষ, গরু, ছাগল, মাছ, পাখি ইত্যাদি। পানির শ্যাওলা বা ব্যাঙের ছাতাও জীব। অ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া অতি ক্ষুদ্র জীব। এসকল জীব নিয়ে গঠিত জগৎই হলো জীবজগৎ।
প্রশ্ন : জাইগোট বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : জাইগোট বা ভ্রম্নণ হলো একটি আদিকোষ যা দুটি গ্যামেট এর মিলনের ফলে সৃষ্টি হয়। যৌন জনন-এ অংশগ্রহণকারী প্রাণীতে শুক্রাণুর ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের মিলনের ফলে জাইগোট সৃষ্টি হয় যা ক্রমান্বয়ে বিভক্ত হয়ে পরিস্ফুটনের মাধ্যমে ভ্রম্নণ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন : আদি ভ্রম্নণ কোষ কোনটি? কোষ প্রাচীর কী কোষকে ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা হয় কেন?
উত্তর : আদি ভ্রম্নণ কোষ হলো জাইগোট।
কোষ প্রাচীর হলো একটি শক্ত আবরণ যা কোষঝিলিস্নর চারদিকে থাকে। কোষ হচ্ছে জীবদেহের যাবতীয় কাজের, যেমন ু শ্বসন, পুষ্টি, রেচন, বৃদ্ধি, বংশবিস্তার প্রভৃতির আধার। কারণ প্রতিটি জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য যে শক্তির দরকার তা তৈরি হয় কোষের ভেতর রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে। এ কারণেই কোষকে একটি ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা হয়।
প্রশ্ন : দ্বিপদ নামকরণ কী? শ্রেণিবিন্যাস জীবের জন্য কেন প্রয়োজন?
উত্তর : গণ নামের শেষে প্রজাতি পদ যুক্ত করে প্রতিটি জীবের নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। যেমন- ঋবষরং পধঃঁং এখানে ঋবষরং হচ্ছে গণ নাম এবং পধঃঁং হচ্ছে প্রজাতির নাম। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ওই প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে সহজে ও অনায়াসে জানা যায়। তাই জীবের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন।
অধ্যায়-৬
উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীব
উদ্ভিদ জীবজগতের একটি বড় গোষ্ঠী যাদের অধিকাংশই সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে। এদের মূল, কান্ড, শাখা-প্রশাখা ও পাতা রয়েছে। মূলের সাহায্যেই উদ্ভিদ মাটির সাথে যুক্ত থাকে।
উদ্ভিদে যৌন ও অযৌন উভয় প্রজননই লক্ষ করা যায়। বীজ হলো উদ্ভিদের জীবনচক্রে তৈরি এমন একটি গঠন যা নতুন চারা গাছের জন্ম দিতে পারে। প্রাণী হলো বহুকোষী এবং বহুকেন্দ্রিক জীবের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী। এরা অ্যানিম্যালিয়া বা মেটাজোয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্রাণীদের মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী এ দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। কিছু অণুজীব উৎপাদক, বেশির ভাগ অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে না বরং অনেক অণুজীব সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন : মূল, কান্ড ও পাতা আছে এমন জীবদের কী বলে?
উত্তর : উদ্ভিদ।
প্রশ্ন : উদ্ভিদ শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদান তৈরি করতে কী ব্যবহার করে?
উত্তর : সূর্যের আলো, পানি ও কার্বন-ডাইঅক্সাইড।
প্রশ্ন : উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় উপাদান তৈরি করে?
উত্তর : সালোকসংশ্লেষণ।
প্রশ্ন : উদ্ভিদ পরিবেশে কী ছাড়ে?
উত্তর : অক্সিজেন।
প্রশ্ন : ঠধংপঁষধৎ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সংবাহী।
প্রশ্ন : পরিবহণ টিসু্য আছে এমন উদ্ভিদকে কী বলে?
উত্তর : সংবাহী উদ্ভিদ।
প্রশ্ন : পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে উদ্ভিদের কোন টিসু্য ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : জাইলেম টিসু্য।
প্রশ্ন : কোন টিসু্য পাতায় তৈরি খাদ্য মূলসহ অন্যান্য অঙ্গে পরিবহণ করে?
উত্তর : ফ্লোয়েম টিসু্য।
প্রশ্ন : জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্যবর্তী স্তরটির নাম কী?
উত্তর : ক্যাম্বিয়াম।
প্রশ্ন : দুই ধরনের পরিবহণ টিসু্যর নাম লিখ।
উত্তর : জাইলেম ও ফ্লোয়েমে।
প্রশ্ন : গাছের মূল ও কান্ডের আবরণের ভেতর কি থাকে?
উত্তর : করটেক্স।
প্রশ্ন : উদ্ভিদকে কাঠামো দানকারী অঙ্গের নাম কী?
উত্তর : কান্ড।
প্রশ্ন : কোন উদ্ভিদ কান্ডকে পানি সঞ্চয়ের কাজে ব্যবহার করে?
উত্তর : ক্যাক্টাস।
প্রশ্ন : গাছের কোন অংশ মাটির সাথে যুক্ত থাকে?
উত্তর : মূল বা শিকড়
প্রশ্ন : মূলের গায়ে লেগে থাকা চুলের মতো অংশের নাম কী?
উত্তর : মূলরোম।
প্রশ্ন : মূলটুপির অবস্থান কোথায়?
উত্তর : মূলের আগায়।
প্রশ্ন : কোন প্রক্রিয়ায় গাছ পাতা থেকে পানি পত্রবস্তু দিয়ে পরিবেশে ছাড়ে?
উত্তর : প্রস্বেদন।
প্রশ্ন : আম, কাঁঠাল, জাম ও বট গাছের পাতা কীরূপ?
উত্তর : একক ও সরল।
প্রশ্ন : গোলাপ, নিম ও সজনে গাছের পাতা কীরূপ?
উত্তর : যৌগিক।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়