রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
  ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী

অধ্যায়-২

প্রশ্ন: বিগব্যাংয়ের পর বিশ্বব্রহ্মান্ডে প্রথমে কী ছিল?

উত্তর: শক্তি।

প্রশ্ন: বিগব্যাংয়ের পর বিশ্বব্রহ্মান্ডে কোন পরমাণু তৈরি হয়েছে?

উত্তর: হাইড্রোজেন।

প্রশ্ন: হাইড্রোজেন গ্যাস পিন্ডের নাম কী?

উত্তর: নেবুলা।

প্রশ্ন: নেবুলাতে কী থাকে?

উত্তর: গ্যাস।

প্রশ্ন: সূর্য কখন জন্ম নিয়েছিল?

উত্তর: পাঁচ বিলিয়ন বছর পূর্বে।

প্রশ্ন: আলোহীন নিষ্প্রভ নক্ষত্রের অবশেষকে কী বলে?

উত্তর: হোয়াইট ডোয়ার্ফ।

প্রশ্ন: নক্ষত্রের ভর বেশি হলে জ্বালানি কী হবে?

উত্তর: দ্রম্নত শেষ হবে।

প্রশ্ন: সুপারনোভা বিস্ফোরণের আলোতে পুরো বিশ্বব্রহ্মান্ড কেমন হয়?

উত্তর: আলোকিত হয়।

প্রশ্ন: কোন বিস্ফোরণে নক্ষত্রের বাইরের অংশটুকু ছিন্নভিন্ন হয়ে উঠে যায়?

উত্তর: সুপারনোভা।

প্রশ্ন: সুপারনোভা বিস্ফোরণে নক্ষত্রের ভিতরের অংশটুকু সংকুচিত হয়ে কিসে রূপান্তরিত হয়?

উত্তর: বস্ন্যাকহোলে।

প্রশ্ন: অরায়নের অপর নাম কী?

উত্তর: কালপুরুষ।

প্রশ্ন: উরসা মেজর কী নামে পরিচিত?

উত্তর: বড় ভালস্নুক।

প্রশ্ন: আকাশের ভাগ কতটি?

উত্তর: ১২টি।

প্রশ্ন: পৃথিবীর জনসংখ্যা কত?

উত্তর: ৮০০ কোটি।

প্রশ্ন: পৃথিবীর অক্ষ কোন দিক বরাবর?

উত্তর: উত্তর-দক্ষিণ।

প্রশ্ন: সপ্তর্ষিমন্ডল দেখতে কেমন?

উত্তর: প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো।

প্রশ্ন: ধ্রম্নবতারাকে ঘিরে ঘড়ির কাঁটার মতো ঘুরেছে কে?

উত্তর: সপ্তর্ষিমন্ডল।

প্রশ্ন: কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলী কোন ঋতুতে দেখা যায়?

উত্তর: শীতকালে।

প্রশ্ন: কালপুরুষের আকৃতি কীরূপ?

উত্তর: তরবারির মতো।

প্রশ্ন: বস্ন্যাকহোল সূর্য থেকে কতগুণ ভারী?

উত্তর: ২০০ গুণ

প্রশ্ন: ছায়াপথের অপর নাম কী?

উত্তর: আকাশগঙ্গা বা গরষশু ধিু.

প্রশ্ন: গ্রহ কী?

উত্তর: যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো নেই তাদের গ্রহ বলে।

প্রশ্ন: টেলিস্কোপ কী?

উত্তর: টেলিস্কোপ হলো এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে বহু দূরের বস্তু পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।

প্রশ্ন: নেবুলা কী?

উত্তর: নেবুলা বাংলায় নীহারিকা। মহাকাশের ধূলিকণা একত্রে মিলিত হয়ে নেবুলা বা নীহারিকা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন: নিউক্লিয়ার ফিউসান কাকে বলে?

উত্তর: যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক পরমাণু যুক্ত হয়ে এক বা একাধিক ভিন্ন মৌলের পরমাণু তৈরি করে তাকে নিউক্লিয়ার ফিউসান বলে।

প্রশ্ন: বস্ন্যাকহোল কী?

উত্তর: বস্ন্যাকহোল হলো মহাশূন্যের এমন কিছু জায়গা যেখানে মহাকর্ষ বল আশপাশের সবকিছু টেনে তার কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এমনকি আলোও টেনে নেয়। এজন্য একে 'বস্ন্যাক' বা কৃষ্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়।

প্রশ্ন: নক্ষত্র বলতে কী বুঝ?

উত্তর: রাত্রিকালে মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে অনেক আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, এগুলোকে নক্ষত্র বলে। নক্ষত্রের নিজস্ব তাপ ও আলো আছে। এরা নির্দিষ্ট পথে গতিশীল। সূর্য একটি নক্ষত্র।

প্রশ্ন: গ্রহ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো নেই, তাদের গ্রহ বলা হয়। সৌরজগতের গ্রহগুলো আটটি গ্রহের একটি দল গঠন করে যা সূর্যের চরদিকে ঘুরে। গ্রহগুলো হলো- বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন।

প্রশ্ন: গ্যালাক্সি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী, অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ ও নানা বস্তু নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ। এই বিশাল সৌরজগৎ মহাবিশ্বের একটি সদস্য মাত্র। সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র মিলে যে বিশাল এক একটি সমাবেশ, তাকে বলে গ্যালাক্সি। আমাদের সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সির সদস্য তার নাম ছায়াপথ।

প্রশ্ন: ছায়াপথ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: অন্ধকার রাতে পরিষ্কার আকাশে জ্যোতিষ্কমন্ডলীয় দিকে তাকালে আকাশে সাদা ধোঁয়ার মতো বিস্তীর্ণ এলাকা দেখা যায়, যা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে, একে ছায়াপথ বলে। ছায়াপথ আসলে লক্ষকোটি নক্ষত্র ও তাদের গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন: বিগ ব্যাং বলতে কী বুঝ?

উত্তর: বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বা এক হাজার চারশ' কোটি বছর আগে পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ড একটি বিন্দুতে ছিল। অবিশ্বাস্য একটি বিস্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মান্ডে রূপ নিয়েছে। সেই বিস্ফোরণটিই হলো বিগ ব্যাং।

প্রশ্ন: নেবুলা বলতে কী বুঝ?

উত্তর: নেবুলা হলো ধুলা, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ও আয়নিত গ্যাসের আন্তঃমহাদেশীয় মেঘ। আসলে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তুর ছড়িয়ে যাওয়া অবস্থাকেই নেবুলা বলা যায়। বস্তু বলতে তা একটি নক্ষত্র, এমনকি একটি গ্যালাক্সিও হতে পারে।

প্রশ্ন: ছায়াপথ কী? ধ্রম্নবতারাকে আমরা স্থির দেখি কেন?

উত্তর: রাতের অন্ধকার আকাশে উত্তর-দক্ষিণে উজ্জ্বল দীপ্ত দীর্ঘ পথের মতো যে তারকারাশি দেখা যায় তাকে ছায়াপথ বলে। আমরা জানি পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তিত হয়। আর তাই পৃথিবীর উত্তর এবং দক্ষিণ অংশ স্থির থাকে, যাদের আমরা মেরু অঞ্চল বলে থাকি। যে কারণে তারাটিকে আমরা সবসময় একই অবস্থানে দেখি অর্থাৎ স্থির দেখি।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে